ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষে নেওয়া সব কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের সব ধরনের সহযোগিতা পাবে বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ভার্চ্যুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সামাদ, কোষাধ্যক্ষ মমতাজ উদ্দীন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। ভার্চ্যুয়ালি সংযুক্ত হয়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের পক্ষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সব ধরনের সহযোগিতা পাবে। এটুকু অ্যালামনাই হিসেবেও বলতে পারি। এটা আমার গর্বের বিষয়। আমরা চাই আামদের দেশ আরো এগিয়ে যাবে। জাতির পিতা এ স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন, এই স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
‘বিশ্বে বাঙালি জাতিকে একটি মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করাই আমাদের লক্ষ্য। করোনা ভাইরাস আমাদের অনেক বাধা দিয়েছে। কিন্তু সেই বাধা অতিক্রম করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। সেজন্য প্রয়োজন গবেষণা করা। গবেষণা ছাড়া কোনো কিছু অর্জন সম্ভব নয়। আপনারা গবেষণাকে গুরুত্ব দেবেন। আমরা সেটাই চাই। ’
আমার একটাই আকাঙ্ক্ষা যে বিশ্বের সঙ্গে তালমিলিয়ে চলবার যে মানবসম্পদ গড়ে তোলা, সেটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হবে। একই সঙ্গে সারা বাংলাদেশে যত বিশ্ববিদ্যালয় করে যাচ্ছি তারাও সেটি অনুসরণ করবে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে আমরা আরো অগ্রসরমানতা দেখতে চাই। এটি সত্য, শিক্ষা ও গবেষণার দিক থেকে বৈশ্বিক মানের বিবেচনায় আমরা এখনো কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছাতে পারিনি। এটির উত্তরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে দায়িত্ব নিতে হবে। কেননা শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিবাচক ভূমিকা রয়েছে। তাই আমাদের সমস্যা ও সীমাবদ্ধতা চিহ্নিত করে সময় উপযোগী কার্যসূচি প্রণয়ণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বৈশ্বিক সূচকে আশাব্যাঞ্জক ভূমিকা রাখতে হবে। আমি আশা করি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সফল হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২০
এসকেবি/এএ