রাজশাহী: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর মধ্যশরতে রাজশাহীতে নেমেছে আষাঢ়-শ্রাবণের বকেয়া বৃষ্টি। মেঘের গুরুগম্ভীর আওয়াজে বুধবার কাকডাকা ভোরেই শুরু হয় বৃষ্টির দাপট।
দেরিতে হলেও টানা বৃষ্টির দেখা পেয়ে স্বস্তির ছোঁয়া পেয়েছে নগরবাসী।
গত শনিবার রাজশাহীতে চলতি মৌসুমের প্রথম বৃষ্টির দেখা পাওয়া গেলেও স্থায়িত্ব ছিলো কম। তাই দীর্ঘ তাপদাহের পর টানা বৃষ্টির দেখা পেয়ে বুধবার অনেককেই মনের সুখে ভিজতে দেখা গেছে। বৃষ্টিভেজা রাস্তায় শখের ফুটবলে মেতেছে শিশু-কিশোররা।
চলতি বছরের শুরু থেকেই রাজশাহী অঞ্চলের আবহাওয়া ছিল বিরূপ। আষাঢ় ছিলো বৃষ্টিহীন। এরপর চৈত্রের দাবদাহ ধার করে যেন শ্রাবণ শুরু হয় । মাঝে মধ্যে আকাশে মেঘ জমলেও বৃষ্টি হচ্ছিলই না।
বর্ষা বরণের অপক্ষায় থেকে রোদে পুড়ে অনেক আগেই ঝরে গেছে কদম। তাই বুধবারের বৃষ্টিতে নগরীর অলিগলি আর সড়ক জলমগ্ন হয়ে নাগরিক দুর্ভোগ বাড়ালেও খুশি সবাই। গ্রামাঞ্চলে কৃষকের মধ্যেও ফিরে এসেছে প্রাণচাঞ্চল্য। বৃষ্টির অপক্ষায় থেকে অনেক কৃষক জমিতে ফসল ফলানোর আশা একপ্রকার ছেড়েই দিয়েছিলেন। তাদের মনে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে। সকালে বৃষ্টির মধ্যেই মাঠে নেমে পড়েন কৃষকরা।
প্রচণ্ড খরার পর বৃষ্টির ছোঁয়া পেয়ে প্রাণ ফিরে পেয়েছে শুকনো গাছপালাও। একদিনের বৃষ্টিতেই চকচকে সবুজ রঙ ধারণ করেছে বিবর্ণ হয়ে পড়া গাছের পাতা।
রাজশাহী আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়া সহকারী আশরাফুল আলম বাংলানিউজকে জানান, ‘উত্তর বঙ্গোপসাগরে লঘু চাপের প্রভাবে এ বৃষ্টিপাত হচ্ছে। লঘুচাপ কেটে গেলেই বৃষ্টি বন্ধ হয়ে যাবে।
তিনি আরও জানান, বুধবার ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নগরীতে ১৭ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বেলা ১২টায় দিনের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর ৬ টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৯৭ শতাংশ। এর আগে গত শনিবার নগরীতে ৫ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১০