ঢাকা: ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা ও পদ্মায় পানি বেড়েই চলেছে। এতে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, শেরপুর, মাদারীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ এবং সিলেটে নতুন নতুন এলাকা ও ফসলি জমি প্লাবিত হচ্ছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং টানা বর্ষণে বুধবার ১১টি নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
কেন্দ্র জানিয়েছে, তাদের পর্যবেণ করা ৭৩টি পয়েন্টের মধ্যে ৪২টি পয়েন্টে নদ-নদীর পানি বেড়েছে। কমেছে ২৭টির। স্থিতিশীল আছে তিনটির। একটির প্রতিবেদন জানা যায়নি।
এর মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদের কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া বাহাদুরাবাদে যমুনার পানি ২৮ সেন্টিমিটার, সিরাজগঞ্জে ৫ সেন্টিমিটার বেড়ে ৪৩ এবং আরিচায় সাত সেন্টিমিটার বেড়ে ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে ৬০, ভাগ্যকূলে ৬৮ সিন্টিমিটার, আরিয়ালখাঁ নদীর পানি মাদারীপুর পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর আমলসিদ ২৩, শেওলায় ২০ এবং শেরপুর পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে প্রাবাহিত হচ্ছে ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালি ৭৯ দশমিক ৩, সুনামগঞ্জ ৭৫, কানাইঘাট ৭০, যশোর ৬.১৫, বরগুনা ৬১ এবং পটয়াখলীতে ৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এফএফডব্লিউসির নির্বাহী প্রকৌশলী আমিরুল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ভারতে অরুণাচর ও আসামে অতিবৃষ্টির কারণে পাহাড়ি ঢলের সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, মেঘনা ও পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টা দেশের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র, যমুনার পানি কমার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তবে পদ্মা ও মেঘনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১০