ঢাকা: অষ্টম শ্রেণি পাস মো. আশরাফুল ইসলাম দিপু (২১) নিজেকে পরিচয় দেন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) পরিচালক হিসেবে। এর বাইরে সুযোগ বুঝে কখনো সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তা, কখনো ব্যবসায়ী আবার কখনো বনে যান ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রনেতা।
সুবিধামতো ভিন্ন ভিন্ন পরিচয় দিয়ে আসা এই যুবক চড়েন দামী গাড়িতে। স্কুলের গণ্ডি পার হতে না পারলেও রপ্ত করেছেন চূড়ান্ত প্রতারণার নানা কৌশল। চাকরি দেওয়ার নামে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীর পল্লবী থানার সেকশন-১১ এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই প্রতারককে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।
এ সময় তার কাছ থেকে ৮টি মোবাইল, ১০টি সিম কার্ড, ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের মাস্টার কার্ড ১টি, ব্যাংক এশিয়ার চেক বই ১টি, সরকারি গেজেটের প্রিন্টেড কপি, ৩টি ভুয়া ফেসবুক আইডি ও ২টি ভিডিও জব্দ করা হয়।
জানা গেছে, এনএসআইর কর্মকর্তা পরিচয়ে গত ৪ ডিসেম্বর একটি গাড়ি ভাড়া নেন আশরাফুল। ওই গাড়ি চালকের স্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এনএসআইর অফিস সহকারী পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে এবং পরবর্তীতে প্রতারণার মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন। ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৮ জানুয়ারি ভাটারা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) আশরাফউল্লাহ বলেন, রাজধানীর ভাটারা থানায় দায়েরকৃত একটি মামলার তদন্তকালে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় প্রতারক আশরাফুল ইসলাম দিপুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিশ্বাস অর্জনের জন্য আশরাফুল স্বাক্ষরসহ এবং স্বাক্ষর ছাড়া নিয়োগের অফিস আদেশের কপি, বাংলাদেশ পুলিশ সদরদপ্তরের লোগোসহ ছবি ভিকটিমের মোবাইলে পাঠান। এছাড়াও তিনি এনএসআইর অফিস আদেশ, সরকারি গেজেট তৈরি করে প্রতারণার জন্য সরবরাহ করতেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, গ্রেফতার যুবক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লাখ লাখ টাকা প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন। তার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়, আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৫০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২১
পিএম/এমজেএফ