সিলেট: সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মাইজগাঁয়ের গুতিগাঁও-এ লাইনচ্যুত হয় ২১টি লরি নিয়ে আসা তেলবাহী ট্রেন।
বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে লাইনচ্যুতির পর থেকে সিলেট রুটে সারাদেশের সঙ্গে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে ট্রেনটির ১০টি লরি ছিটকে পড়ে রেললাইনের পাশে। লরি মাটিতে ছিটকে পড়ে মাটি ভেসে যায় তেলে। একদিকে চলছে উদ্ধার কাজ। অন্যদিকে তেল ছড়িয়ে পড়া এলাকাটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি থাকলেও জীবনের মোহ তুচ্ছ করে তেল সংগ্রহে ব্যস্ত জনতা। দুর্ঘটনার ও তেল লুটের খণ্ডচিত্র উঠে এসেছে বাংলানিউজের ক্যামেরায়।
দুর্ঘটনার পর রেললাইনের পাশে উল্টে পড়া তেলের লরি (ওয়াগন)। রেললাইন থেকে সরে গেছে পাটাতন। দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনটি দেখতে উৎসুক জনতার ভিড়।
রেললাইন থেকে ছিটকে পড়া ট্রেনের আশপাশ ঘুরে দেখছেন দমকল বাহিনীর লোকজন।
রেললাইন থেকে ছিটকে পড়া ট্রেনটি উদ্ধারে রেলের উদ্ধারকর্মীদের নিরলস চেষ্টা।
রেললাইনের ছিটকে পড়া পাটাতন কাঁধে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধার কাজে নিয়োজিতরা।
ছিটকে পড়া ওয়াগন থেকে তেল নিতে চেষ্টারত স্থানীয় লোকজন।
তেল নিতে আসা লোকজন দমকল বাহিনীর আটকে রাখার চেষ্টা।
অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি থাকলেও তেল সংগ্রহে তুচ্ছ প্রাণের মায়া। ওয়াগন ছিটকে পড়ার পর জমিতে পড়া তেল কাপড় দিয়ে সংগ্রহের চেষ্টায় ছেলে বুড়ো সকলে।
দুর্ঘটনায় এলোমেলোভাবে পড়ে থাকা রেললাইনের লোহার পাটাতন।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ট্রেন দুর্ঘটনার পরপরই অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি উপেক্ষা করেও ওয়াগন থেকে তেল নিতে শুরু করেন স্থানীয় জনতা।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সিলেটের সহকারি প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, তেলবাহী ট্রেন দুর্ঘটনার পর পুরো এলাকাটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। কোনোক্রমে আগুন ধরে গেলে সর্বনাশ হয়ে যাবে। আমরা উদ্ধার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছি। এ ধরণের দুর্ঘটনার তেল সংগ্রহ মানুষের মূল টার্গেট। যে কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও বাধা নিয়ে লোকজন সরাতে পারছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০২১
এনইউ/কেএআর