ঢাকা, শুক্রবার, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২৭ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

ন্যায়-সংগ্রামের প্রদীপ্ত সাহসের প্রতীক শহীদ 'ড. শামসুজ্জোহা'

শরীফ সুমন ও মঈন উদ্দিন, সিনিয়র ও রাবি করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১
ন্যায়-সংগ্রামের প্রদীপ্ত সাহসের প্রতীক শহীদ 'ড. শামসুজ্জোহা' ড. শামসুজ্জোহার সমাধি। ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: ‘আহত ছাত্রদের পবিত্র রক্তের স্পর্শে আমি উজ্জীবিত। এরপর আর যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলি হয় সেই গুলি কোনো ছাত্রের গায়ে লাগার আগে আমার বুকে বিঁধবে।

’ ইতিহাস বিখ্যাত এই উক্তিটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শহীদ ড. শামসুজ্জোহার। যিনি প্রাণ দিয়ে স্থাপন করে গেছেন ভালোবাসার নিদর্শন।

১৯৬৯ সালে পাকিস্তানি স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে উত্তাল গণআন্দোলন চলছিল পূর্ব পাকিস্তানে। জায়গায় জায়গায় সান্ধ্যকালীন আইন ও ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। আন্দোলনের ঝড় উঠছিল রাজশাহীতেও।

১৭ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীতে কারফিউ ছিল। কিন্তু প্রতিবাদী জনতা ও ছাত্রসমাজ কারফিউ ভঙ্গ করে নেমে পড়ে রাজপথে। ড. শামসুজ্জোহা তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রক্টর। শহরে আন্দোলনে গিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্র সামরিক সেনাদের হাতে আহত হয়েছে।

সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তৎকালীন বাংলা বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মযহারুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ড. জোহা। আহত ছাত্রদের অবস্থা দেখে মর্মাহত শিক্ষক পরম স্নেহে কোলে তুলে নিয়ে তাদের ভর্তি করেন রাজশাহী মেডিক্যালে। ছাত্রদের রক্তে তখন তার পরনের কাপড় লাল হয়ে গেছে। ওই অবস্থায় মেডিক্যাল থেকে ফিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি জরুরি সভা ডাকলেন তিনি। রক্তাক্ত শার্ট দেখিয়ে ছাত্রদের প্রতি গভীর ভালোবাসায় ব্যথিত এই উক্তিটি সেই সময়েরই উচ্চারণ!

১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান হানাদারবাহিনীর হাতে নির্মমভাবে শহিদ হন অধ্যাপক শামসুজ্জোহা। জোহার রক্ত ঝরার মধ্য দিয়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে আইয়ুববিরোধী আন্দোলন চরম আকার ধারণ করে। পতন ঘটে সামরিক জান্তা আইয়ুব খানের। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে আরও বেশি ভিত্তি দেয় ড. জোহার আত্মত্যাগ।

১৮ ফেব্রুয়ারি ড. জোহার মৃত্যু কোনো নিয়ন্ত্রণাতিত দুর্ঘটনা ছিল না বরং সুনির্দিষ্টভাবে তার প্রতি ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছিল মরণবাণ। এদিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে মেইন গেটের সামনের মহাসড়কে পাকিস্তানি স্বৈরাশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। ড. শামসুজ্জোহা মেইন গেটে ছুটে যান।

কারফিউ ভঙ্গ করে ছাত্ররা বাইরে গেলে সরকারের কোনো ক্ষতি হবে না, ক্ষতি হবে খুব সাধারণ ঘরের মানুষের- এই চিন্তা মাথায় রেখে ড. জোহা সেদিন মিছিলটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে আটকানোর জন্য ছুটে গিয়েছিলেন। কারণ তিনি যথার্থই আশঙ্কা করেছিলেন যে, ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক পার হওয়া মাত্র নাটোর রোডে টহলরত উদ্ধত সেনাদের গুলিতে তাদের অনেকে নিহত বা আহত হবে।

প্রক্টর হিসেবে তিনি ছাত্রদের শান্ত করার এবং ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন। ছাত্ররা পিছু হঠতে না চাইলে পাকহানাদার বাহিনীর ক্যাপ্টেন হাদী ছাত্রদের ওপর গুলি করার নির্দেশ দেয়। তখন ড. জোহা পাক বাহিনীর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘কোনো ছাত্রের গায়ে গুলি লাগার আগে যেন আমার গায়ে গুলি লাগে। ’ এ সময় তিনি ‘ডোন্ট ফায়ার! ডোন্ট ফায়ার!’ বলে চিৎকার করতে থাকেন। তিনি ছাত্রদের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দেন।

কিন্তু প্রক্টরের আশ্বাসে কোনো কর্ণপাত না করে বেলা ১১টার সময় ক্যাপ্টেন হাদী তার পিস্তল বের করে ড. জোহাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। সেদিন মহান এই শিক্ষক ড. জোহার বুকের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল মতিহারের নিষ্পাপ সবুজ চত্বর। হাসপাতালে নেওয়ার পর ড. জোহা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

আগের দিন ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রক্টর দপ্তর থেকে পেট্রোল এনে আন্দোলনরত ছাত্ররা ঢাকা-নাটোর মহাসড়কে গাড়ি পুড়িয়েছিল। এজন্যই হয়তো পাকিস্তানি স্বৈরসেনাদের সব ক্ষোভ জমেছিল তারই উপর। যার পরিণাম তার জীবনাবসান। মৃত্যুর দিনেও ড. জোহা কোনো বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্বে দিচ্ছিলেন না বরং ঠিক তার উল্টো।

প্রথমে ছাত্ররা বুঝতে পারছিল না ড. জোহার ভাগ্যে কি ঘটেছে। দুপুর ১২টার দিকে ক্যাম্পাসে খবর আসে ড. জোহাকে প্রথমে কাছ থেকে গুলি ও পরে বেয়নেট চার্জ করে ক্ষত-বিক্ষত করা হয় এবং তিনি মুমূর্ষু অবস্থায় রাজশাহী পৌরসভার একটি পুলিশ ভ্যানে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে পড়ে আছেন। পরে তৎকালীন ডিসির নির্দেশে ড. জোহাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

খবর পেয়ে ছাত্র-জনতা ভিড় জমায় হাসপাতালে। ইতোমধ্যেই অনেক দেরি হওয়ার কারণে প্রচুর রক্তক্ষরণ ঘটায় অপারেশন থিয়েটারে অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন চিকিৎসক। অকাতরে প্রাণ দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রথম শহিদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখান তিনি। এর পরের ইতিহাস সবার জানা। ড. শামসুজ্জোহার রক্তস্নাত পথ ধরে গণআন্দোলন গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হয়।

১৯ ফেব্রুয়ারি তার মরদেহ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে আসা হলো। সেদিন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অন্যান্য শুভার্থীরা লাল ফুলে জড়িয়ে আরও রঙিন করেছিল তার রক্তাক্ত দেহ। এ ঘটনায় জিল্লুর রহমান সিদ্দিকীর নেতৃত্বে কয়েক সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হল। সিদ্ধান্ত হল তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে সমাধিস্থ করা হবে। ১৯ ফেব্রুয়ারি সাবাশ বাংলাদেশ মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হলো। মাঠজুড়ে সেদিন ড. জোহার শুভার্থীরা এই প্রার্থনাই করেছিল, ‘সৃষ্টিকর্তা যেন তাকে জান্নাত নসিব করেন। ’

ড. শামসুজ্জোহা শহীদ ড. শামসুজ্জোহা হওয়ার পূর্বে খুব সাধারণ ড. জোহা ছিলেন। পাড়ার ছেলেদের কাছে তিনি বেশি প্রিয় ছিলেন ‘মন্টু ভাই’ হিসেবে। দুষ্টু ছেলেরা তাকে দিলীপ কুমার বলেও ডাকতেন। তার পুরো নাম সৈয়দ মুহম্মদ শামসুজ্জোহা।

১৯৪৩ সালের পহেলা মে পশ্চিমবঙ্গের বাকুড়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। পিতা মুহম্মদ আব্দুর রশীদ। বাকুড়া জেলা স্কুলে ১৯৪০ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত পড়াশোনা করে কৃতিত্বের সঙ্গে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর বাকুড়া ক্রিশিয়ান কলেজে দুই বছর পড়াশোনা করে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। সেখানেও তিনি কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন। এখানে আসার পর ড. জোহা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে ভর্তি হন।

সেখান থেকে ১৯৫৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর রসায়নবিদ ড. মোকাররম হোসেন খন্দাকারের তত্ত্বাবধানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য গবেষণা আরম্ভ করেন। তার গবেষণার বিষয়বস্তু ছিল, ‘বৈদ্যুতিক পদ্ধতিতে ক্রোমাইট খনিজের জারক প্রক্রিয়া। ’ পরবর্তীতে তার এ গবেষণা নিবন্ধ আকারে লন্ডনের ‘রসায়ন ও শিল্প’ পত্রিকায় ১৯৫৪ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। ওই বছরই তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেছিলেন। তার গবেষণার আরও একটি অংশ ‘পাকিস্তান বিজ্ঞান গবেষণা’ পত্রিকায় ১৯৫৫ সালে প্রকাশিত হয়।

প্রথমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে খুবই স্বল্পকালের জন্য উন্নয়ন অফিসার হিসেবে নিযুক্তি পান। পরে তিনি শিক্ষক হিসেবে রসায়ন বিভাগে যোগদান করেন। আবাসিক শিক্ষকতা ও প্রক্টরের দুরূহ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাকে তার অমূল্য জীবনটি দান করতে হল। ১৯৬৫ থেকে ১৯৬৭ পর্যন্ত ড. জোহা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম হলের আবাসিক শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৬৮ সালের জানুয়ারি মাসে নরওয়ের অসলো বিশ্ববিদ্যালয়েরর এক বছর মেয়াদী উচ্চ গবেষণার জন্য স্কলারশিপ লাভ করেছিলেন। কিন্তু বিভাগ তাকে ছাড়েনি। ১৯৬৮ সালের ১৫ই এপ্রিল থেকে প্রক্টরের দায়িত্ব পালন করেন। এবং শেষ পর্যন্ত দায়িত্বরত অবস্থাতে তাকে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে হয়।

বিভাগের ছাত্র-শিক্ষক সবারই প্রিয়ভাজন ছিলেন তিনি। ছিলেন হাস্যোজ্জ্বল ব্যক্তিত্বের অধিকারী। মুখের মায়াময় হাসি দেখে কেউ কখনো অনুমান করতে পারেনি তার কোনো পিছুটান থাকতে পারে। ১১ ভাই বোনের মধ্যে দ্বিতীয় ছিলেন তিনি। তার বড় ভাই নদীতে ডুবে মারা যান। বড় ভাই ও বাবার মৃত্যুর পর সম্পূর্ণ পরিবারের দায়িত্ব তখন তার উপর। ছোট দুই ভাই বোনকে পড়াশোনার জন্য নিজের কাছে রেখেছিলেন। অপুষ্টিজনিত কারণে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছিল অন্য দুটি বোন। কিন্তু তাকে দেখে এ দুরাবস্থার কোনোটাই অনুমান করা যেত না।

শিক্ষকতার পাশাপাশি তাকে শাহ মখদুম হলের আবাসিক শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সেখানেও হলের ছাত্রদের কাছে তিনি ছিলেন প্রিয় মুখ। শিক্ষক কিংবা হলের আবাসিক শিক্ষক হিসেবে নয় ছাত্রদের সঙ্গে মিশতেন তাদের মত করেই। দাঁড়িয়ে কথা বলার সময়ে ছাত্রদের কাঁধে হাত রেখে কথা বলতেন। ঘুঁচিয়ে দিতেন ছাত্র শিক্ষক দূরত্ব। ছাত্রদের সঙ্গে ‘ভাই’ সম্বধোন করে কথা বলতেন। ছাত্রদের নিয়েই ছিল তার কাজ। ছাত্রদের কোনো গোলমালে বা পারস্পারিক তীব্র বৈরীতায় কাউকে ধমক না দিয়ে অত্যন্ত বন্ধত্বপূর্ণভাবে পরিস্থিতি সমাধান করার পক্ষপাতি ছিলেন তিনি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরম শ্রদ্ধায় এখনো ড. জোহার স্মৃতি লালন করে। তার স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮ ফেব্রুয়ারি সব কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ স্মৃতিসংগ্রহশালায় অনেকের সঙ্গে ড. জোহার কিছু স্মৃতি চিহ্ন রাখা হয়েছে। যাতে পরবর্তী প্রজন্ম তার সম্পর্কে জানতে পারে। যে জায়গায় তাকে হত্যা করা হয়েছিল সেখানে তৈরি করা হয়েছে স্মৃতিস্তম্ভ। তারই স্মরণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বুক উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে জোহা হল। এক মহান শিক্ষককের আত্মোৎস্বর্গের স্বাক্ষর বহন করছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখবর্তী তার কবর।

কিছু কিছু মৃত্যু আছে যা মৃত্যুকে পরাভূত করে। ড. জোহার মৃত্যু সেরকমই একটি মৃত্যু। যা মৃত্যুর দ্বার দিয়ে অমরত্বে প্রবেশ করেছে। শুধু তাই নয়, যে জোহা জীবনে ব্যক্তিগত পরিজন ও বন্ধু বান্ধবের সংকীর্ণ বৃত্তে আবদ্ধ ছিলেন, মৃত্যুর ভেতর দিয়ে সেই তিনি লাখ লাখ মানুষের জীবনকে স্পর্শ করলেন। আর সেই বিদ্যুৎ-সঞ্চারী স্পর্শে বাংলাদেশে ঘটেছিল এক গণবিস্ফোরণ। ড. জোহার মৃত্যু আপামর দেশবাসীকে স্বাধীনতার প্রেরণা যুগিয়েছিল।

কিন্তু এত বছর থেকে দাবি জানিয়ে আসলে আজও এই দিনটিকে 'জাতীয় শিক্ষক দিবস' হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। যদিও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই দিনটিকে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০
এসএস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।