ঢাকা, সোমবার, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০৮ জুলাই ২০২৪, ০০ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

বাঘায় জমিজমা নিয়ে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৪

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১
বাঘায় জমিজমা নিয়ে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৪

রাজশাহী: রাজশাহীর বাঘায় পদ্মা নদীর ওপারে জমিজমা নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনায় চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এতে উভয়পক্ষের অন্তত আটজন আহত হয়েছেন।

তবে এখনও আহতদের নাম জানা যায়নি।

রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে বাঘা উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের চৌমাদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

দুর্গম চরের ভারতীয় সীমান্ত লাগোয়া এ গ্রামটির অর্ধেক অংশ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মধ্যে পড়েছে।

বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত যতদূর জানা গেছে জমিজমা নিয়ে বিরোধ সংক্রান্ত ঘটনা। স্থানীয় চৌমাদিয়া গ্রামের সেলিম দর্জি ও দিদার বেপারীর জমি আছে পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার এলাকার মধ্যে। সেলিমের জমিতে কলাবাগান রয়েছে। আর দিদারের জমিতে রয়েছে গম। কয়েকদিন আগে সেলিম আগুন দিয়ে কলাবাগানের ভেতরে থাকা ঘাস পুড়িয়ে ধ্বংস করছিলেন। তখন দিদারের গমক্ষেতে আগুন ধরে যায়।

এ ঘটনা নিয়ে সেদিন তাদের হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে গত শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দৌলতপুরের বাংলাবাজার মোড়ে তাদের আবারও মারামারি হয়। পরে বিষয়টি সেখানেই মীমাংসা করে দেন স্থানীয়রা।

কিন্তু ঘটনাটি সেখানে শেষ হয়নি। এ বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিলই। রোববার দুপুরে তারা আবারও নিজেদের চৌমাদিয়া গ্রামেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে দুইপক্ষের অন্তত আটজন আহত হন।

ওসি আরও জানান, সেলিমের বাড়িতে তার এক আত্মীয় বেড়াতে গিয়েছেন কুষ্টিয়া থেকে। তিনিই পিস্তল দিয়ে গুলি ছুঁড়েছেন। এতে চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

তাদের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা বিভিন্ন দেশি ধারালো অস্ত্র এবং লাঠির আঘাতে আহত হয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত কারো অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়। তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। সংঘর্ষের সঙ্গে জড়িতদের আটক করতে অভিযান শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হবে বলেও জানান বাঘা থানার এ পুলিশ কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১
এসএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।