ঢাকা: সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিল করার সিদ্ধান্ত এবং কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্রদলের সমাবেশ করার কথা ছিল প্রেসক্লাব এলাকায়। এতে পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়।
রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একটি সূত্র জানান, প্রেসক্লাবের ঘটনায় প্রায় ৪০ জনের মতো চিকিৎসা নিয়েছেন। প্রথমে দুই-তিনজন করে লোক আসতেই থাকে। একপর্যায়ে বিএনপি নেতা এ্যানি ও আমান উল্লাহ আমানের নেতৃত্বে প্রায় দুই থেকে আড়াইশ বিএনপির নেতাকর্মীরা হাসপাতালে আসেন।
সূত্রটি আরও জানান, এতে আহতদের চিকিৎসা দিতে চিকিৎসকদের বেগ পেতে হয়। অনেক লোকজন জরুরি বিভাগে ভেতরে অবস্থান নেয়। পরে হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম অবস্থা। এর পরপরই অতিরিক্ত পুলিশ এসে জরুরি বিভাগ ও সংলগ্ন রাস্তায় অবস্থান নেয়।
হাসপাতলে অবস্থানরত একটি গোয়েন্দা সূত্র থেকে জানা যায়, বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান ও এ্যানি আহতদের দেখতে ঢামেকে আসেন। তাদের সঙ্গে প্রায় দুই থেকে আড়াইশ লোক জরুরি বিভাগে হুড়হুড় করে ঢুকে পড়েন। এতে আহতদের চিকিৎসা দিতে চিকিৎসকদের বেগ পেতে হয়।
ওই সূত্রটি আরও জানান, আহতদের মধ্যে কেউ গুরুতর নয় সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। একপর্যায়ে বাইরে থাকা পুলিশ জরুরি বিভাগ থেকে ও জরুরি বিভাগের গেট পর্যন্ত মোট ৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়।
ঢামেক হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্পের (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া বাংলানিউজকে জানান, প্রেসক্লাবের ঘটনায় প্রায় ৪০ জন আহত হয়েছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে, তাদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিতে প্রায় দুই থেকে আড়াইশ জন জরুরি বিভাগের চিকিৎসার রুমে ঢুকে পড়েন। তাদের বারণ করা সত্ত্বেও তারা জরুরি বিভাগে ঢুকে পড়েন। এতে আহতদের চিকিৎসা দিতে চিকিৎসকদের বেগ পেতে হয়।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রেসক্লাবের ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা দিতে আমাদের চিকিৎসকদের বেগ পেতে হয়েছে। কারণ আহতদের দেখতে লোকজনের সংখ্যা ছিল দ্বিগুণ।
ঢামেক থেকে সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছেন কিনা এ প্রশ্নের জবাবে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদ জানান, এখনো অভিযান চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১
এজেডএস/এএটি