ঢাকা: কুমিল্লার গৌরীপুরে বাসে আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত দগ্ধ ১৪ জন রোগী শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা ভর্তি হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) রাতে ভর্তি হওয়া দগ্ধরা হলেন বাসযাত্রী মিজানুর রহমান (৫৫), ওমর ফারুক (৫১), শাহিনুর আক্তার (৩২) ও তার মেয়ে আসমাউল হাসনা সানজানা (১৩) শাহিনুরের বাবা গোলাম হোসেন (৭৫), শামছুন্নাহার (৬৫), নুরুল ইসলাম (৬৫), উজ্জ্বল মিয়া (৪০) ও স্ত্রী মোহসিনা বেগম (৩৮), মোহসিনার মা হালিমা খাতুন (৫৫), বাবা আ. রহিম (৬৫) দুই মেয়ে তাহিয়া (১০) তাসনিয়া (৬) ও মনসুর আহমেদ (২৩)।
এছাড়া দগ্ধ শামছুন্নাহার উজ্জ্বলের মা ও বাবা রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে মারা গেছেন।
দগ্ধ শাহিনুর জানান, তাদের বাড়ি চাঁদপুরের মতলবে। বর্তমানে ঢাকার জিগাতলায় থাকেন। বাবা গোলাম হোসেন বেশ কিছু দিন ধরে অসুস্থ। তার চিকিৎসা শেষে দেশের বাড়ি যাচ্ছিলেন। গৌরীপুর পৌঁছালে হঠাৎ গাড়িতে আগুন ধরে যায়।
বার্ন ইনস্টিটিউটের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, গোলাম হোসেনের ৩১, ওমর ফারুকের ৮ শতাংশসহ বাকিদের ২ থেকে ৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। সবাইকে অবজারবেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে গোলাম হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে মেডিক্যাল অফিসার ডা. সুলতান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, কুমিল্লার ঘটনায় মোট ১৩ জন রোগী পেয়েছি। তাদের মধ্যে গোলাম হোসেন নামে একজনের ৩১ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক। আইসিউতে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বাকিদেরও চিকিৎসা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২১
এজেডএস/এএ