ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

কীর্তনখোলা নদীর দূষণ ও দখলদারিত্ব বন্ধে সভা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২১
কীর্তনখোলা নদীর দূষণ ও দখলদারিত্ব বন্ধে সভা কীর্তনখোলা নদীর দূষণ ও দখলদারিত্ব বন্ধে সভা। ছবি: বাংলানিউজ

বরিশাল: বরিশালে কীর্তনখোলা নদীর অবৈধ বালু উত্তোলন এবং বিরাজমান পরিস্থিতি বিষয়ক উপকারভোগী সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) আয়োজনে রিভার ভিউ রেঁস্তোরা মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বরিশালের উন্নয়ন সংগঠক মো. রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার শুরুতে বেলা বরিশাল অফিসের সমন্বয়কারী লিংকন বায়েন স্বাগত বক্তব্যে বলেন, সমাজের একশ্রেণির স্বার্থান্বেষী মহালের দখলদারিত্ব ও পরিবেশ পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের কারণে ধান-নদী-খাল বেষ্টিত বরিশাল অঞ্চলের পরিবেশ হুমকির সম্মুখীন। দীর্ঘদিন ধরে বরিশালের ঐতিহ্যবাহী নদী কীর্তনখোলা থেকে অবৈধ ও অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের কারণে নদী ভাঙ্গন আগ্রাসী রূপ ধারণ করেছিল যে কারণে বেলা বালুমহাল বন্ধে উচ্চ আদালতে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে (মামলা নম্বর ১০৫৫৩/১৪)। উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে বর্তমানে বালু উত্তোলন বন্ধ থাকলেও দূষণ ও দখলদারিত্ব বেড়েই চলেছে।

তিনি বলেন, মামলা পরবর্তী সময়ে আদালতের নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কতটুকু বাস্তবায়ন করেছে, তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের মতামত ও এ অবস্থায় বেলা’র করণীয় বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণের লক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করা হয়েছে।

এসময় বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে যে বালু উত্তোলন চলমান ছিল তা বেলার আইনগত পদক্ষেপের মাধ্যমে সমাধান হলেও অন্যান্য কারণে নদী ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় আমরা নিঃস্ব হতে চলেছি। বেলার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে নদীপাড়ের উদ্বাস্তু মানুষেরা দাবি জানাই যাতে করে সরকারি বেসরকারি পর্যায়ের মাধ্যমে ভাঙ্গন প্রক্রিয়া ঠেকাতে টেকসই বেড়ী বাঁধ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। অন্যদিকে বরিশাল শহর সংলগ্ন চরকাউয়া ইউনিয়েনের অন্তর্গত নদী গর্ভে হারিয়ে যাওয়া চরবদনা মৌজায় জেগে ওঠা জমি যাতে আমরা ফিরে পাই তার আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও আমরা উপকৃত হবো। যারা ক্ষমতাবান তারাই আইনের তোয়াক্কা না করে নদীকে দখল ও দূষণ করে চলেছেন।

এদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারা আরও বলেন, বরিশালের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সভ্যতা গড়ে উঠেছে এই কীর্তনখোলাকে কেন্দ্র করে। এই নদীর গুরুত্ব অপরিসীম। একে রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সকলের নিতে হবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি মো. রফিকুল আলম বলেন, বরিশালের কৃষি, মৎস্য, নৌ-যোগাযোগ এবং পরিবেশ-প্রতিবেশ ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে নদী-খালসহ সকল জলাশয় টিকিয়ে রাখতে হবে। সেই সঙ্গে দখল দূষণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২১
এমএস/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।