লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মো. মুন্না (১৩) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রের রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে।
স্বজনদের দাবি মাদ্রাসায় দুপুরের খাবার খেয়ে মো. মুন্না (১৩) নামে ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, মুন্না রায়পুর পৌরসভার ল্যাংড়া বাজার পশ্চিম কেরোয়া এলাকার আফিয়া হারুন নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসায় খাবার খেয়ে মাটিতে লুটে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। ঘটনার পর মাদ্রাসার সুপার মোজাম্মেল হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত মুন্না কেরোয়া এলাকার সৌদি প্রবাসী কামাল হোসেন ও গৃহিণী মমতাজ বেগমের মেঝো ছেলে।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, মুন্না স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়তো। করোনাকালীন বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় তাকে কোরআন শিক্ষার জন্য গেল বছরের আগস্টে ওই মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়। সেখানে সে দুপুরের খাবার খেতো।
বুধবার দুপুরে খাবারের পর সে কয়েকবাদ বমি করে। একপর্যায়ে সে মাটিতে লুটে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে কি কারণে মুন্না মারা গেছেন তা নিশ্চিতভাবে জানাতে পারেনি চিকিৎসক।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক সিরাজুম মুনিরা জানান, শিশুটির শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। হাসপাতালে আনার আগেই শিশুটি মারা গিয়েছিল।
মুন্নার মা মমতাজ বেগম বলেন, আমার ছেলেকে মাদ্রাসায় হত্যা করা হয়েছে। তবে কিভাবে ও কেন হত্যা করেছে, তা এখন নিশ্চিতভাবে বুঝতে পারছি না। আমি হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচার চাই।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল বলেন, কী কারণে শিশুর মৃত্যু হয়েছে তা বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগও করেনি। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাদ্রাসা সুপারকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬২২ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২১
এসএইচডি/আরএ