ঢাকা: রাজধানীর যানজট নিরসনে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থেকে মদনপুর পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার ঢাকা বাইপাস সড়ক চার লেনে উন্নীত করা হবে।
চলমান এই প্রকল্পের ব্যয় বাড়ছে ১৮৫ দশমিক ৩০ শতাংশ।
মূল প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয় ২৩৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ব্যয় বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৬৭৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
প্রকল্পটি মার্চ ২০১৬ থেকে জুন ২০২০ সাল মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য ০১ মার্চ ২০১৬ তারিখে একনেক সভায় অনুমোদন করা হয়।
জানা গেছে, এই বাইপাস সড়ক নির্মিত হলে দেশের উত্তরাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের পণ্যবাহী যানবাহন ঢাকায় প্রবেশ না করেই সরাসরি চট্টগ্রামের পথে যেতে পারবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর (সওজ)।
প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য হলো পিপিপি কনসেশনারের মাধ্যমে জয়দেবপুর-দেবগ্রাম-ভুলতা-মদনপুর সড়ক (ঢাকা বাইপাস) চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নে সার্বিক সহায়তা ও ব্যবস্থাপনা প্রদান। চলমান প্রকল্পটি ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট আর্থিক অগ্রগতি ১৭৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা, যা মোট প্রকল্প ব্যয়ের ৭৩ দশমিক ৪১ শতাংশ।
সওজ সূত্র জানায়, নানা কারণে প্রকল্পের সময় ও ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে প্রকল্পটি সংশোধন করা হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ব্যয় বাড়ছে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য। প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ৫ দশমিক ২২ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে। এ খাতে ৪০১ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ ব্যয় বাবদ ১৫ লাখ, মূল বেতন খাতে ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা বাড়ছে। কনসালটেন্সি খাতে ৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা বাড়ছে। এছাড়া আন্তঃমন্ত্রণালয় ভূমি হস্তান্তর ১১৩ দশমিক ৭৩ হেক্টর এবং এ খাতে ৩ কোটি টাকা বাড়ছে। কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ধাপে সরকারের নীতির আলো সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানের পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয়ের আওতায় সকল প্রকার নতুন ও প্রতিস্থাপক হিসেবে যানবাহন কেনা ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়। ফলে যানবাহন ব্যবহারের চুক্তিভিত্তিক কাজ করা হয়। এ খাতে ৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।
পাবলিক পাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) প্রকল্পের আওতায় চার লেনের ঢাকা বাইপাস নির্মাণ করা হবে। এতে করে নগরীতে পণ্যবাহী পরিবহনের অনেক চাপ কমবে।
সওজ সূত্র জানায়, ঢাকা বাইপাস পিপিপি প্রকল্পের নির্মাণ কাজ চলাকালীন যাবতীয় কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ এবং পুনর্বাসন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকারের পাশাপাশি অন্যান্য সংস্থাও সাহায্য করবে। প্রকল্প প্রস্তাবে নীতিগত সাপোর্ট, জনবল, ইনডিপেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার, এনজিও সার্ভিস, লিকুইডেটেড সার্ভিস, স্টাডি ট্যুর ইত্যাদি বিষয়ে সভা সেমিনার করা হয়েছে। এতে সবার কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে।
সওজের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. সবুজ উদ্দিন খান বাংলানিউজকে বলেন, সিভিল কাজের জন্য নয়, মূলত জমি অধিগ্রহণের কারণেই প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বাড়ছে। সরকার জমি অধিগ্রহণে তিনগুণ দাম নির্ধারণ করেছে। এসব কারণেই বাড়তি দাম দিয়ে জমি অধিগ্রহণ করতে হচ্ছে। তবে সিভিল কাজের সঙ্গে ব্যয় ও সময় বৃদ্ধির সম্পর্ক নেই। প্রকল্পের সিভিল কাজ পিপিপির আওতায় শুরু হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২১
এমআইএস/এজে