ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শাল্লায় বাড়িঘর ভাঙচুর: জড়িতের বিচারের দাবি আসকের 

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২১
শাল্লায় বাড়িঘর ভাঙচুর: জড়িতের বিচারের দাবি আসকের 

ঢাকা: হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়ার জেরে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।

 

আসক সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনার জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় সংঘ্যালঘুদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জোর দাবি জানিয়েছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানায় আসক।  

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ১৫ মার্চ দিরাই উপজেলা সদরে হেফাজতে ইসলামের একটি সমাবেশে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল হকসহ অন্য নেতারা বক্তব্য দেন। ওই রাতে মামুনুল হককে নিয়ে শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাস আপন নামে এক যুবক ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দিয়েছেন-এমন অভিযোগ তুলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঝুমন দাসকে গ্রেফতারের দাবিতে উত্তেজিত লোকজন বিক্ষোভ মিছিল করলে মঙ্গলবার রাতেই পুলিশ ওই যুবককে আটক করে। ফেসবুক পোস্টের জের ধরে বুধবার সকাল ৯টার দিকে নোয়াগাঁওয়ের আশপাশের কয়েকটি গ্রামের লোকজন জড়ো হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে ওই গ্রামে গিয়ে হামলা চালান। এ সময় নোয়াগাঁও গ্রামের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। হামলা হতে পারে, এমন আশঙ্কায় ওই গ্রামের লোকজন আগেই বাড়িঘর ছেড়ে পাশের গ্রাম ও হাওরে আশ্রয় নেন। হামলাকারীরা চলে যাওয়ার পর অনেকে বাড়িতে ফিরে আসেন। তবে এখনো মানুষজন আতঙ্কে আছেন।

এতে আরও বলা হয়, ফেসবুকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে এমন সংবাদের ওপর ভিত্তি করে বেশ কয়েক বছর ধরে দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য। প্রায়ই দেখা যায়, দীর্ঘ সময় ধরে উত্তেজনা বিরাজ এবং হামলার প্রস্তুতি চললেও স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহিংসতা প্রতিরোধে কার্যকর হতে পারছে না। অধিকাংশ সময় তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটছে। এসব হামলার ঘটনা সংখ্যালঘুদের মধ্যে চরম অনিরাপত্তা আর আতঙ্কবোধ তৈরি করছে, যা দূর করা এবং এমন হামলার পুনরাবৃত্তিরোধে কার্যকর সচেতনতা, প্রতিরোধ ও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। আসক সরকারের কাছে এ বিষয়ে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২১
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।