নোয়াখালী : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যা মামলায় আগে থেকে আটক ১২ জনকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত শুনানি শেষে ১২ আসামিকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো (শ্যোন অ্যারেস্ট) হয়।
এ ১২ আসামি হলেন কোম্পানীগঞ্জের ইউসুফ নবী, আবদুল আমিন, আলমগীর, রাহাত, আজিজুল হক মানিক, বাহাদুর, ফয়সাল আলম টিটু, বিক্রম চন্দ ভৌমিক, সুজায়েত উল্যাহ, দেলোয়ার, মো. সেলিম ও মাসুদুর রহমান।
জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের বসুরহাট পৌরমেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাদল গ্রুপের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনায় ১৫টি মামলা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন মামলায় এ পর্যন্ত ২৭ জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। পরে সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১২ জনকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
পিবিআই নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান মুন্সী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ও গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১২ আসামিকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে আবেদন করলে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটে। পুলিশও কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও শর্টগানের গুলি ছোড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষের মুখে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক মুজাক্কিরসহ সাত-আটজন। পরে ২০ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাত পৌনে ১১টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মুজাক্কির।
ওই ঘটনায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে মুজাক্কিরের বাবা নোয়াব আলী মাস্টার বাদী হয়ে অজ্ঞাত একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই দিন রাতে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২১
এসআই