ঢাকা: দেশের পাঁচ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থাপিত হতে যাওয়া শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের জন্য ৮৫ হাজার ল্যাপটপসহ তথ্যপ্রযুক্তি সামগ্রী কেনা সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৪৮৭ কোটি ২১ লাখ ৭ হাজার ৭৯১ টাকা।
বৃহস্পতিবার (১৮মার্চ) দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের অর্থমন্ত্রী জানান, আজ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৯ম এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১১তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত কমিটির অনুমোদনের জন্য একটি এবং ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য পাঁচটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হলে দু’টি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এরমধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের একটি প্রস্তাব ও গৃহায়ণ এবং গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একটি। দুই প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ৬৫১ কোটি ৩৫ লাখ ২৭ হাজার ৬৩৯ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে সম্পূর্ণ অর্থই জিওবি হতে ব্যয় হবে।
তিনি বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন (২য় পর্যায়)’ প্রকল্পের আওতায় পাঁচ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের জন্য ৮৫ হাজার ল্যাপটপ, ৫ হাজার ওয়েব ক্যামেরা, ৫ হাজার রাউটার এবং ৫ হাজার নেটওয়ার্ক সুইচসহ অন্য তথ্যপ্রযুক্তি সামগ্রী সংগ্রহ, সরবরাহ ও স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
৮৫ হাজার ল্যাপটপ কেনা হচ্ছে এ কাজটা কারা পাচ্ছে বিস্তারিত জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা ৫ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থাপিত হতে চলা শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের জন্য ৮৫ হাজার ল্যাপটপ কেনার একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছি। এটা অনেকগুলো অ্যাসাইনমেন্টে এগুলো কেনা হবে। আজ এটা বলা সম্ভব না। কারণ আমরা তাদের আবার রিরাইট করে নিয়ে আসতে বলেছি। তবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোন কন্ডাক্টর কতো পেয়েছে সেটার বিস্তারিত আমাদের কাছে ছিল না। শুধু যিনি লোয়েস্ট তারটা শুধু বলা হয়েছে।
শেখ রাসের ডিজিটাল ল্যাবের জন্য বিশাল সংখ্যক ল্যপটপ কেনা হবে। সেক্ষেত্রে আমাদের সরকারি একটি প্রতিষ্ঠান দোয়েল, সেখান থেকে কি এই ল্যাপটপগুলো কেনা যেত না- এমন প্রশ্নেন জবাবে অতিরিক্ত সচিব বলেন, এটা আসলে কোনো প্রতিষ্ঠাকে টার্গেট করে কেনা হয় না। আমাদের যে সরকারি ক্রয় আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী যে ধরনের প্রসিজিউর ফলো করে করা হয়, এক্ষেত্রে সে ধরনের প্রসিডিউর ফলো করা হয়েছে। এখানে কোনো প্রতিষ্ঠানকে বিবেচ্য বিষয় করা হয়নি।
এরআগে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় একটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবটি হলো বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রাডার সিস্টেমসহ অন্য যন্ত্রপাতি সরকারি অর্থায়নের পরিবর্তে সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে কেনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২১
জিসিজি/এএ