গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা চাহিদা মাফিক টাকা দিয়ে চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন।
এ অভিযোগে বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) সকালে উপজেলার টুপুরিয়ার এলাকার হেমায়েত বাহিনী স্মৃতি যাদুঘরের সামনের সড়কে কাফনের কাপড় পরে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন বাদপড়া বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
মানববন্ধন থেকে পুনরায় যাচাই-বাছাই ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। অন্যথায় আমরণ অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারও দেওয়া হয়।
পরে সেখানে হেমায়েত বাহিনীর প্রধান হেমায়েত উদ্দিন বীর বিক্রমের ভাই সাবেক কোটালীপাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি সামচুল হকের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল আজিজ, আব্দুল মান্নান, হেমায়েত উদ্দিন বীর বিক্রমের বোন মোমেলা বেগম, মোখলেস মোল্লা, সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তরা বলেন, কোটালীপাড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের নামে প্রহসন করা হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে যাচাই-বাছাই কমিটি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। যে সব বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদ পড়েছে এবং যারা চূড়ান্ত তালিকাভূক্ত হয়েছেন এর ৯০ ভাগ লোকের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে।
যারা মোটা অংকের টাকা দিয়েছেন তাদের চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। আর যারা চাহিদা মাফিক টাকা দিতে পারেননি তাদের ‘খ’ ও ‘গ’ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
তারা বলেন, অনেকেই গরু, ছাগল, জায়গা-জমি বন্ধক ও বিক্রি এবং সুদে এনে তাদের টাকা দিয়েছেন। তাই এই দুর্নীতিগ্রস্ত কমিটির যাচাই-বাছাই বাতিল করে পুনরায় কোটালীপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই করতে হবে।
গত ৩০ জানুযারি কোটালীপাড়াসহ গোপালগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই করা হয়। এর মধ্যে কোটালীপাড়ায় হেমায়েত বাহিনী প্রধানসহ ৩৬২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার যাচাই-বাছাই করা হয়। এর মধ্যে ২৬ জনকে ‘গ’ তালিকাভুক্ত করে বাদ ও ১১৮ জনকে ‘খ’ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২১
এসআরএস