কক্সবাজার: কক্সবাজারের চকরিয়ায় সুদের টাকা দিতে না পারায় এক গৃহবধূকে গাছের সঙ্গে বেঁধে শারীরিকভাবে নির্যাতনের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হাসানুজ্জামান।
এ সময় তিনি ভিকটিম, পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে তিনি ঘটনাস্থলে যান। এদিকে বহুল সমালোচিত এ ঘটনায় শওকত ওসমানকে প্রধান আসামি করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ।
মামলায় শওকত ওসমান ছাড়াও তার মা সাফিয়া খাতুন (৫০), বাবা জহির আহমদ, স্ত্রী শাহিনা আক্তারসহ (২৩) অজ্ঞাতপরিচয় আরও দুইজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে জহির আহম্মদছাড়া বাকিরা পলাতক রয়েছেন।
পরিদর্শনকালে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া-পেকুয়া সার্কেল) তফিকুল আলম ও চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের সঙ্গে ছিলেন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, গৃহবধূর ওপর নির্যাতনের ঘটনার মূলহোতা মামলার এজাহারনামীয় ১ নম্বর আসামি শওকত ওসমান পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালাচ্ছে। মামলার ২ নম্বর আসামি জহির আহমদকে পুলিশ গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে বছরখানেক আগে ওই গৃহবূর তার স্বামীর চিকিৎসার জন্য শওকত ওসমানের কাছ থেকে সুদের ওপর ৪ হাজার টাকা ধার নেন। পরবর্তীতে ওই নারী সুদের লাভসহ ৮ হাজার টাকা পরিশোধ করেন শওকত ওসমানকে। মঙ্গলবার দুপুরের শওকত ওসমান আরও ২ হাজার টাকা দাবি করেন ওই নারীর কাছে। তিনি ওই টাকা বৃহস্পতিবার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা মানতে রাজি হয়নি শওকত ওসমান। এনিয়ে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শওকত ওসমান গৃহবধূকে একটি গাছের সঙ্গে শাড়ি দিয়ে বেঁধে মারধর, শারীরিক নির্যাতন ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। তাকে নির্যাতনের এ ভিডিও চিত্রটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়লে টনক নড়ে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নিন্দার ঝড় উঠে।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২১
এসবি/এএটি