ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

‘রমজানে মাছ, মাংস, দুধ, ডিমের দাম অস্বাভাবিক করা যাবে না’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৭ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২১
‘রমজানে মাছ, মাংস, দুধ, ডিমের দাম অস্বাভাবিক করা যাবে না’

ঢাকা: পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে মাছ, মাংস, দুধ, ডিমের দাম কোনোভাবেই অস্বাভাবিক করা যাবে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। একই সঙ্গে এসব পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কম দাম নির্ধারণের জন্য সুপারশপের প্রতিনিধিদের অনুরোধ জানান তিনি।

রোববার (২১ মার্চ) বিকেলে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মাছ, মাংস, দুধ ডিম ইত্যাদি পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখা এবং সরবরাহ চেইন নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘মাছ, মাংস, দুধ, ডিমের দাম বৃদ্ধি করা তো যাবেই না বরং যতটা সম্ভব সহনীয় পর্যায়ে কমিয়ে আনতে হবে। বাজারের স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে হবে। একইসঙ্গে সরবরাহ চেইনকে অবশ্যই স্বাভাবিক রাখতে হবে। এক্ষেত্রে মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় সকল সহায়তা দেবে। অধিদপ্তরের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক সহযোগিতা দেবে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘রমজান মাসে এসব পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ভ্রাম্যমান বিক্রয়ের জন্য জেলা পর্যায়ে ১০টি করে ভ্যান দেয়া হবে। মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সহায়তায় এসব ভ্যানের মাধ্যমে খামারিরা উৎপাদিত পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে। যাতে জনগণের কাছে এই বার্তাটি পৌঁছে যায়, বাজারে মূল্য বেড়ে গেলেও এর বিকল্প ব্যবস্থা আছে। ’

রেজাউল করিম বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বড় বড় ধর্মীয় উৎসবের সময় দ্রব্যমূল্যের দাম কমে যায়। রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার পথ চাইলেই খোঁজা সম্ভব। প্রয়োজনে এসময় ব্যবসায় লাভের পরিমাণ কম করতে হবে। নির্দিষ্ট সময় দ্রব্যমূল্যে ছাড় দিয়ে নিজ প্রতিষ্ঠানকে ক্রেতাদের কাছে আরো আকর্ষনীয় করাও সম্ভব। ’

মন্ত্রী বলেন, ‘করোনাসহ বুলবুল, আম্পানের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ সরকারকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে ত্রাণ পৌঁছে দিতে হচ্ছে। বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা দিতে হচ্ছে। করোনার টিকার ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। এজন্য সরকার কোথাও অতিরিক্ত কর ধার্য করেনি। এক্ষেত্রে সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে যাতে, কোনোভাবেই দেশের মানুষ কষ্ট না পায়। ’

সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার,  মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী হাসান আহমেদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মোঃ ইমদাদুল হক ও শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, মন্ত্রণালয়, মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল, বাংলাদেশের ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, সুপারশপ 'স্বপ্ন', বেঙ্গল মিট, যাত্রাবাড়ী মাছ ব্যবসায়ী সমিতিসহ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতসংশ্লিষ্ট অন্যান্য অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা সভায় অংশগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০৭ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২১
জিসিজি/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।