ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

নৃত্য-গীতে ‘বাংলার মাটি আমার মাটি’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২১
নৃত্য-গীতে ‘বাংলার মাটি আমার মাটি’

ঢাকা: নূপুরের ছন্দে, গানের সুরে বর্ণিত হলো সুজলা শ্যামলা বাংলার মাটির বন্দনা। সেসঙ্গে সংস্কৃতির নানা শাখার পরিবেশনায় উঠে এলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম।

সোমবার (২২ মার্চ) জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানমালার ষষ্ঠ দিনের সাংস্কৃতিক আয়োজনে এসব পরিবেশনা হয়।

‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে দশদিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি।

সোমবার ষষ্ঠ দিনের আয়োজনের প্রতিপাদ্য ছিলো ‘বাংলার মাটি আমার মাটি’। এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ আয়োজনের সভাপতিত্ব করেন। সম্মানিত অতিথি ছিলেন নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারী।

আলোচনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। আলোচনায় অংশ নেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।

আলোচনা পর্ব শেষে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ‘বাংলার মাটি আমার মাটি’ শীর্ষক এ সাংস্কৃতিক পরিবেশনার পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় ছিলেন লিয়াকত আলী লাকী।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিলো যন্ত্রসঙ্গীতের সুর মূর্চ্ছনা। শিল্পকলা একাডেমির যন্ত্রসংগীত দলের শতজন শিল্পী সুরের মূর্চ্ছনায় স্বাগত জানান অতিথিদের।

এরপর প্রদর্শিত হয় ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যের ওপর টাইটেল অ্যানিমেশন ভিডিও এবং ষষ্ঠ দিনের আয়োজনের প্রতিপাদ্য ‘বাংলার মাটি আমার মাটি’র ওপর আরেকটি অ্যানিমেশন ভিডিও।

এর পরেই শুরু হয় মূল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাচিকশিল্পী গোলাম সারোয়ারের গ্রন্থনায় ‘হাজার বছর ধরে’ শিরোনামের এ পরিবেশনায় অংশ নেন অভিনয় শিল্পী সংঘের ২৩ জন শিল্পী। এ আয়োজনের নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন অমিত চৌধুরী এবং সংগীত পরিচালনায় ছিলেন রোকন ইমন।

এরপর পরিবেশিত হয় যাত্রাপালা ‘মা মাটি মানুষ’। দেশের বরেণ্য যাত্রাশিল্পীরা এতে অংশ নেন। এ পরিবেশনার উপদেষ্টা ছিলেন অধ্যাপক আফসার আহমেদ ও নাট্যজন এস এম মহসীন। এ যাত্রাপালার রচনা ও নির্দেশনায় ছিলেন মিলন কান্তি দে।

এর পর মঞ্চ থেকে ভেসে আসে এ বাংলার মাটির গানের সুর। শতজন লোকসংগীত শিল্পীর পরিবেশনায় ছিলো ‘সবার উপরে মানুষ সত্য’। এ গীতি আলেখ্যের সংগীত পরিচালনায় ছিলেন নবনীতা চৌধুরী। নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন কাজী তামান্না হক সিগমা। পরিবেশনায় অংশ নেন শিল্পকলা একাডেমি বাউল দল ও ভাওয়াইয়া দলের শিল্পীরা।

এরপর নৃত্যগীতে বর্ণিত হয় ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধের পথরেখা। যার শিরোনাম ছিলো ‘সেই থেকে শুরু দিন বদলের পালা’। এ আয়োজনের উপদেষ্টা ছিলেন শিল্পী বুলবুল মহলানবীশ ও মনোরঞ্জন ঘোষাল। এ পরিবেশনায় নৃত্য পরিচালনা করেন ওয়ার্দা রিহাব।

এরপর ছিলো ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের পরিবেশনা ‘বাংলার বর্ণিল সংস্কৃতি’। এতে অংশ নেন চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তনচংগ্যা, বম, ম্রো, গারো, হাজং, সাঁওতাল এবং ওড়াও সম্প্রদায়ের শিল্পীরা। এ আয়োজনের নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন ফিফা চাকমা এবং সংগীত পরিচালনা ছিলেন বিপ্লব বড়ুয়া। এ পরিবেশনার উপদেষ্টা ছিলেন শিল্পী কনক চাঁপা চাকমা।

এরপর নির্ঝর চৌধুরীর পরিচালনায় পরিবেশিত হয় বঙ্গবন্ধুর প্রিয় গান ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গান। এ আয়োজনের নৃত্য পরিচালনা করেন সাইফুল ইসলাম ইভান।

এরপর নৃত্যে বর্ণিত হয় বাংলার ষড় ঋতুর বৈচিত্র্যময়তা। ফারহানা চৌধুরী বেবীর নৃত্য পরিচালনায় পরিবেশনায় অংশ নেন বাংলাদেশ একাডেমি অব ফাইন আর্টসের (বাফা) শিল্পীরা।

‘দারুন অগ্নিবাণে রে’, ‘এসো হে সজল শ্যামল’, ‘শরৎ তোমার অরুণ’, ‘হেমন্তিকা এসো’, ‘শীতের হাওয়ায় লাগলো নাচন’ এবং ‘মনেরও রং লেগেছে’ গানের সঙ্গে তারা নৃত্য পরিবেশন করেন।

এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ষষ্ঠ দিনের আয়োজন।

বাংলাদেশ সময়: ০৭১৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২১
ডিএন/এমকেআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।