ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে ২৫২০ কোটি টাকা: অ্যাটকো

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২১
সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে ২৫২০ কোটি টাকা: অ্যাটকো

ঢাকা: দেশে টিভি চ্যানেলের চার কোটি গ্রাহকের (সাবস্ক্রাইবার) কাছ থেকে সরকার বছরে দুই হাজার ৫২০ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে বলে দাবি করেছে অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো)।

বুধবার (২৪ মার্চ) বিকেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সম্মেলনকক্ষে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে অ্যাটকোর সিনিয়র সহ-সভাপতি ৭১ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু একথা বলেন।

সভায় ভার্চ্যুয়ালি সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। এনবিআরের আয়কর নীতির সদস্য মো. আলমগীর হোসেন, সদস্য সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, ভ্যাট নীতির সদস্য মো. মাসুদ সাদিকসহ বাজেট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অ্যাটকো নেতা মোজাম্মেল বাবু বলেন, ডিজিটাল ডিস্ট্রিবিউশনের জন্য সরকার ক্যাবল অপারেটরদের বারবার তাগাদা দিয়ে এলেও তারা দেশি ও বিদেশি চ্যানেলের ডিজিটাল বিতরণের ক্ষেত্রে কোনো লগইন প্রযুক্তি-সমাধান এখনও খুঁজে পাচ্ছে না। ফলে দেশি ও বিদেশি চ্যানেলের কনটেন্টের বিনিময়ে সাবক্রিপশন ফি যেমন আদায় করতে পারছে না, তেমনি সরকার চার কোটি গ্রাহকের কাছ থেকে বছরে অন্তত দুই হাজার ৫২০ কোটি টাকা মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) কর হারাচ্ছে।

এছাড়া বিদেশি চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন পাচার রোধে প্রস্তাবনা তুলে ধরেন মোজাম্মেল বাবু।

সভায় ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেন নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) নেতারা।

সভায় নোয়াবের পক্ষে প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম। সমিতির পক্ষ থেকে নিউজ প্রিন্ট কাগজ আমদানিতে শুল্ক কমানো ও করপোরেট কর কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ক্যাবল অপারেটরদের বিষয়ে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া বিজ্ঞাপন পাচার হওয়ার বিষয়েও বলা হয়েছে। এজন্য তথ্য ও আইসিটি মন্ত্রণালয় একযোগ একটি মাধ্যম ব্যবহার করে নিয়ন্ত্রণ করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।

নিউজ পেপার আমদানি শুল্ক কমানোর প্রস্তাবের বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড শুধু রাজস্ব সংগ্রহের কাজ করে না। এই প্রতিষ্ঠান রাজস্বের পাশাপাশি দেশি শিল্প সুরক্ষায়ও কাজ করছে। দেশ বর্তমানে টাকা তৈরির কাগজ উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করেছে। কিন্তু পত্রিকার কাগজ উৎপাদনে কেন পারছে না তা তদন্ত করে দেখা হবে।

যদি দেখা যায়, আমাদের পত্রিকাশিল্প সম্পূর্ণভাবে কাগজ আমদানি নির্ভর, তাহলে সুবিধা দেওয়া যেতে পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২১
এসএমএকে/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।