ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ইউপি সদস্যকে তুলে নিয়ে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২১
ইউপি সদস্যকে তুলে নিয়ে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ

রাজশাহী: রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্যকে তুলে নিয়ে ও সংরক্ষিত দুজন নারী সদস্যকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে জোর করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য এনামুল হকের ভাই রেজাউল করিম লেদার বিরুদ্ধে।

অভিযোগ উঠেছে, জোর করে স্বাক্ষর নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আসকান আলী আসকানের অপসারণ দাবি করে একটি লিখিত অভিযোগ প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ইউপি সদস্যরা।

তারা হলেন—৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন, সংরক্ষিত নারী আসনের ইউপি সদস্য মর্জিনা বেগম ও পলি বেগম।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য আব্দুস সামাদ, নুর মোহাম্মদ ও হাফিজুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইউপি চেয়ারম্যান আসকান আলী আসকান বলেন, সম্প্রতি আমার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে দেওয়া হয়। এতে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অপসারণের দাবি করা হয়। ওই অভিযোগে ৯ জন ইউপি সদস্যের স্বাক্ষরযুক্ত ছিল। কিন্তু তাদের মধ্যে ৭ জনের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। ৩ জন ইউপি সদস্যকে জোর করে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে।

নিজের ভাই রেজাউল করিম লেদার এমন অপকর্মের বিরোধিতা করে এমপি এনামুল ওই ইউপি চেয়ারম্যান ও ভুক্তভোগী সদস্যদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

এ সময় ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন অভিযোগ করে বলেন, গত ২১ মার্চ স্থানীয় বাজার থেকে রেজাউল করিম আমাকে তুলে নিয়ে যান। তিনি আমাকে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর করতে বলেন। আমি অস্বীকৃতি জানালে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেওয়া হয়। পরে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগে ওই স্বাক্ষর ব্যবহার করা হয়েছে।

সংরক্ষিত নারী আসনের ইউপি সদস্য মর্জিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ২১ মার্চ রাতে রেজাউল করিমসহ ১০-১২ জন আমার বাড়িতে জোর করে প্রবেশ করেন। তারা আমাকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন।

সংরক্ষিত নারী আসনের আরেক সদস্য পলি বেগম বলেন, আমরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করিনি। এমপির ভাই জোর করে আমার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছেন। আমরা এমপির কাছেও বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেছি। তিনি থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে এমপি এনামুল হকের ভাই রেজাউল করিম লেদা বলেন, আমি কোনো ইউপি সদস্যের স্বাক্ষর জাল বা জোর করে স্বাক্ষর নেইনি। চেয়ারম্যান আসকান আলী তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ থেকে রক্ষা পেতে ইউপি সদস্যদের ব্যবহার করে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২১
এসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।