ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তাণ্ডবের ঘটনায় এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ১০ প্লাটুন বিজিবি সদস্য গান কার নিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি। তবে ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১০ প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা দিবসে নরেন্দ্র মোদির ঢাকায় সফরকে ঘিরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা চালায় আন্দোলনকারীরা। এ সময় তারা সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে টায়ারে আগুন লাগিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে বিক্ষুব্ধরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রেল স্টেশনে গিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। রেল স্টেশনের সিগন্যাল, মাস্টার রুম, কন্ট্রোল রুম, অন্যান্য কর্মকর্তাদের কক্ষ ব্যাপক ভাংচুর করে। সমস্ত মালামাল একত্রিত করে আগুন ধরিয়ে দেয়। রেল লাইনের স্লিপার তুলে ফেলে বিক্ষুব্ধরা। সিগন্যাল বক্স ভেঙ্গে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এছাড়াও পুলিশ সুপারের কার্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে এবং জেলা পরিষদ, পৌর মুক্ত মঞ্চ, পৌর মার্কেটসহ বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভেঙ্গে ফেলে। এসব ঘটনায় পুলিশসহ প্রায় ১০ জন আহত হয়। সদর হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় আশিক নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। সে শহরের কাউতলীর দাতিয়ারা গ্রামের সাগর মিয়ার ছেলে। পরে বিক্ষুব্ধরা লাশ নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে বিক্ষোভ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২১
এমকেআর