ব্রাহ্মণবাড়িয়া: টানা তিন দিনের নারকীয় তাণ্ডবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজত ও মাদ্রাসাছাত্ররা ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দিয়েছে সরকারি-বেসসরকারি স্থাপনাসহ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের বাড়িঘর।
হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে শাহাদৎ হোসেন শোভন একজন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন ও তার বাবা ওয়ালিদ হোসেনের কান্নার একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। বৃদ্ধ বাবা ও ছেলের একে অপরকে জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় মোবাইলফোনে ছবিটি অনেকেই ধারণ করেন। পরে ছবিটি ভাইরাল হয়ে যায় ফেসবুকে। ছবিটি শেয়ার করে অনেকেই হেফাজতের নারকীয় তাণ্ডবের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
সোমবার (২৯ মার্চ) দুপুরে জেলা শহরের সরকারপাড়ায় হেফাজতকর্মীদের হামলার শিকার ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎতের বাড়ি পরিদর্শনে যান ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তার পরিবারকে শান্তনা দেন।
এছাড়াও হেফাজতকর্মীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র নায়ার কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের বাড়ি, ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন এবং আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু নাসেরের বাড়িতেও ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার বাংলানিউজকে বলেন, দিনভর হেফাজতের তাণ্ডবে বিক্ষোভকারীরা টার্গেট করে আমাদের দলীয় নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। তারা আমার বাড়ি ও আমার শ্বশুর বাড়িসহ আমার অফিসকে পুড়িয়ে ছাই করে দেয়। প্রাণ রক্ষার ভয়ে পরিবারসহ নিরাপদ জায়গায় থাকতে হয়েছে। আমার জীবনের অর্জন করা সব স্মৃতি তারা পুড়িয়ে দিয়েছে।
সোমবার চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আনোয়ার হোসেন হেফাজতকর্মীদের দ্বারা আক্রান্ত স্থাপনাগুলো পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, সবগুলো ঘটনাতেই মামলা প্রক্রিয়াধীন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) বিশেষজ্ঞ টিম ডাকা হয়েছে। তারা প্রতিটি ঘটনাস্থল ঘুরে আলামত সংগ্রহ করবে। প্রতিটি ঘটনার মামলা বিশেষজ্ঞ টিম তদন্ত করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২১
এসআরএস