সাতক্ষীরা: প্রচণ্ড জোয়ারের তোড়ে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় খোলপেটুয়া নদীর পাঁচটি পয়েন্টে রিং বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে আশাশুনি দক্ষিণপাড়াসহ আশপাশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) দুপুরে নদীটির দয়ারঘাটের দু’টি ও আশাশুনির তিনটি পয়েন্টে রিং বাঁধ ভেঙে বিলীন হয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে আশাশুনি সদর ইউনিয়নের ১০টি পয়েন্টে খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে গোটা ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছিল। তখন স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে আটটি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হলেও দু’টি পয়েন্টে সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। ওই দু’টি পয়েন্টে রিং বাঁধ দিয়ে কোনো মতে পানি আটকানো হয়েছিল। সোমবার (২৯ মার্চ) সেই দু’টি রিং বাঁধে ভাঙন ধরলে তা কোনো মতো মেরামত করা হয়। কিন্তু মঙ্গলবার দুপুরের প্রচণ্ড জোয়ারের তোড়ে দয়ারঘাটের দু’টি ও আশাশুনির তিনটি পয়েন্টে রিং বাঁধ ভেঙে যায়। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে যায়। এখনো এলাকায় পানি ঢুকছে। ফলে বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে।
আশাশুনি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা মিলন বাংলানিউজকে বলেন, দয়ারঘাট ও আশাশুনিতে রিং বাধ ভেঙে শত শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। সন্ধ্যার আগে সংস্কার করা সম্ভব না হলে, আশাশুনি সদর, শ্রীউলা, শোভনালী ও চাম্পাফুল ইউনিয়নও প্লাবিত হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সাতক্ষীরার এসও রাব্বী হাসান বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভাঙনকবলিত বাঁধের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২১
এসআরএস