রাজশাহী: ভাষাসৈনিক আবুল হোসেন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)।
বার্ধক্যজনিত কারণে বুধবার (৩১ মার্চ) বিকেলে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
ভাষাসৈনিক আবুল হোসেনের বয়স হয়েছিলো ৮৭ বছর। তিনি দুই ছেলে, এক মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আর তার সহধর্মিণী আগেই মৃত্যুবরণ করেছেন।
আবুল হোসেনের বড় ছেলে আবুল হাসনাত বিদ্যুৎ জানান, বুধবার দুপুরের পর হঠাৎ করেই তার বাবার কোনো সাড়া শব্দ পাচ্ছিলেন না।
বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে রামেক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।
বর্তমানে তার মরদেহ মহানগরীর শিরোইল মঠপুকুরে থাকা নিজ বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ভাষাসৈনিক আবুল হোসেনের মরদেহ সর্ব সাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত্রী ৮টা পর্যন্ত ভুবন মোহন পার্ক শহীদ মিনারে রাখা হবে। সাড়ে ৯টায় টিকাপাড়ায় থাকা মহানগর ঈদগাহ ময়দানে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর টিকাপাড়া কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হবে।
রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক (ডিডি) সাইফুল ফেরদৌস জানান, মৃত অবস্থাতেই স্বজনরা ভাষাসৈনিক আবুল হোসেনকে রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এসেছিলেন। হাসপাতালে আনার পর ইসিজি করে তার পালস পাওয়া যায়নি। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভাষাসৈনিক আবুল হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি কিছুদিন থেকে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।
জীবদ্দশায় ভাষাসৈনিক আবুল হোসেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি, রাজশাহী সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ও অসাম্প্রদায়িক আন্দোলনের সামনের সারিতে ছিলেন। ভাষাসৈনিক আবুল হোসেনের মৃত্যুতে রাজশাহীর রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, সদর আসনের সংসদ সদস্য ও ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক দীলিপ কুমার ঘোষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২১/আপডেট: ১৮০০ ঘণ্টা,
এসএস/এএটি