ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ১৯৭১ সালে যেভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সেভাবেই ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে.এম খালিদ।
বুধবার (৩১ মার্চ) বিকেলে হেফাজতকর্মীদের ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলো পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।
স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী খালিদ বলেন, বিশ্বাস করা যায়না এমন ধ্বংসযজ্ঞ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তারা চালিয়েছে। যেগুলো ক্ষতি হয়েছে, আমরা সেগুলো পুণ:নির্মাণ করব। যারা এ ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনার যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার।
এ সময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন গণগ্রন্থাগারের মহাপরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিক, শিল্পকলার অতিরিক্তি সচিব নওশাদ হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পকলার সাধারণ সম্পাদক এ আর ওসমান গনি সজিব।
গত ২৬-২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হেফাজতকর্মীরা। তারা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়, পৌরসভা কার্যালয়, জেলা পরিষদ কার্যালয় ও ডাকবাংলো, খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা ভবন, আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, আলাউদ্দিন খাঁ পৌরমিলনায়তন ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরসহ বেশ কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২১
এনটি