ঢাকা: ভূমি সংক্রান্ত অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পৃথক আইন ‘ল্যান্ড ক্রাইম অ্যাক্ট’ বিবেচনাধীন আছে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
বুধবার (৩১ মার্চ) ভূমিমন্ত্রী এফডিসি মিলনায়তনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ‘ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনায় জনসম্পৃক্ততা’ বিষয়ে এক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভূমি অফিসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে নাশকতা সৃষ্টিকারীরা রাষ্ট্র ও জনগণের সম্পদ মূল্যবান দলিলপত্র নষ্ট করেছে। রেকর্ডপত্র নষ্ট করে তারা ওই ভূমি অফিসের আওতাভুক্ত এলাকার সাধারণ জনগণকে দীর্ঘমেয়াদী হয়রানি ও ক্ষতির সম্মুখীন করেছে।
তিনি বলেন, আমরা ভূমি খাতে টেকসই পরিবর্তন করছি যেন দুর্নীতি করার সুযোগই না থাকে। ভূমি অফিসের নিরাপত্তা জোরদারে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নজরদারি বৃদ্ধি করার জন্য ‘আইপি ক্লোজড সার্কিট টিভি ক্যামেরা’ ও দলিলাদির নিরাপত্তায় অগ্নিনিরোধী আলমারির স্থাপন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, জনভোগান্তি কমাতে দ্রুত ছায়া রেকর্ডপত্র তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সরকারি জমি অবৈধ দখলকে দণ্ডনীয় ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করে শীগগিরই আইন সংশোধন করে যুগোপযোগী করা হচ্ছে। এছাড়া পটুয়াখালী ও বরগুনায় দ্রুত বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে (বিডিএস) শুরু হবে, যা ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করে পর্যায়ক্রমে দেশব্যাপী পরিচালনা করা হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি বক্তব্য হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনায় সরকার ডিজিটাল রেকর্ডরুম, ভূমি সেবা হটলাইন, ভূমি শ্রেণি জটিলতা কমানো, মৌজা ও প্লট-ভিত্তিক ডিজিটাল ভূমি জোনিং ইত্যাদি বহুমুখী কার্যক্রম নিয়েছে, যা প্রশংসনীয়।
বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিচারকদের মধ্যে ছিলেন ভূমি আইন বিশেষজ্ঞ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিক ও প্রথিতযশা বিতার্কিক। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সরকারি দল হিসেবে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) ও বিরোধী দল হিসেবে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) বিতার্কিকরা অংশ নেন। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলের মাঝে ট্রফিসহ অন্যান্য সনদপত্র তুলে দেন ভূমিমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২১
জিসিজি/এমজেএফ