ঢাকা: ঢাকা সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত হলো ৪৪তম বার্ষিক কমান্ড সেফটি সেমিনার।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার (৩১) ঢাকা সেনানিবাসে ফ্যালকন হলে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত।
কোভিড-১৯ মহামারি অবস্থা থাকা সত্ত্বেও ২০২০ সালে ২৮ হাজার নিরাপদ উড্ডয়ন ঘণ্টা অর্জন করায় বিমান বাহিনীর সদস্যদের প্রশংসা করেন বিমান বাহিনী প্রধান।
বিমান বাহিনী সদস্যদের কর্মদক্ষতার ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, ২০২০ সাল ছিল বিমান বাহিনীর জন্য একটি ঘটনাবহুল বছর। বিমান বাহিনী বিভিন্ন অপারেশনাল উড্ডয়নের পাশাপাশি কোভিড-১৯ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মিশন, যেমন চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে চিকিৎসা সামগ্রী আনয়ন, মালদ্বীপ ও লেবাননে চিকিৎসা সামগ্রী পরিবহন, আটকে পড়া বাংলাদেশিদের যুক্তরাজ্য ও মালদ্বীপ থেকে বাংলাদেশে আনা অত্যন্ত সফলভাবে পরিচালনা করে।
এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত বলেন, সম্মিলিত প্রয়াস নিরাপদ উড্ডয়নের চাবিকাঠি। এটা এয়ার ক্রু, টেকনিশিয়ান, বিমান নিয়ন্ত্রক থেকে শুরু করে বিমান উৎপাদক, ওভারহলিং ও রক্ষণাবেক্ষণ সংস্থাকেও অন্তর্ভুক্ত করে। আমাদের সবাইকেই আরও বেশি সতর্ক ও সূক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণের অধিকারী হতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট সকল নিয়মনীতি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
বিমান বাহিনী প্রধান বলেন, বিমান বাহিনী সার্বিকভাবে অ্যানালগ ব্যবস্থা থেকে ডিজিটাল ব্যবস্থায় উত্তরণ করছে। তাই উড্ডয়ন নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আপসহীন মান অর্জনের লক্ষ্যে সর্বস্তরের জনবলের মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ প্রদানের ওপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।
২০২০ সালে সর্বাধিক নিরাপদ উড্ডয়ন ঘণ্টা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বীর শ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ‘আন্তঃঘাঁটি ফ্লাইট সেফটি ট্রফি’ এবং ১১ নং বহর আন্তঃস্কোয়াড্রন খাদেমুল বাশার ফ্লাইট সেফটি ট্রফি লাভ করে।
অনুষ্ঠানে বিমান সদর ও বিমান বাহিনীর ঘাঁটি বাশার এবং ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিমানসেনারা উপস্থিত ছিলেন। বিমান বাহিনীর অন্যান্য ঘাঁটি সমূহের সদস্যরা ভিডিও টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২১
এমইউএম/এমজেএফ