মৌলভীবাজার: শ্রীমঙ্গলের ছেলে মৌলভীবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র ইউটিউবার ফারহান তানভীর ফাহিমকে নিখোঁজের আট ঘণ্টা পর তাকে পাওয়া যায়।
রোববার (৪ এপ্রিল) ফাহিমের চাচা শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন সোহেল বাংলানিউজকে জানান, শনিবার (৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় বাসা থেকে পরীক্ষার উদ্দেশ্যে বের হয় ফাহিম।
সিলেট থেকে মুঠোফোনে ফাহিমকে খুঁজে পাওয়ার খবর পেয়ে তার বাবা ও চাচা গিয়ে সিলেট মগলাবাজার খালের মুখ এলাকার সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ময়লায় ভাগার থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় উদ্ধার করে শ্রীমঙ্গল থানায় নিয়ে আসেন। ফাহিম এখন শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তার বাবা শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য ও সংবাদকর্মী আমজাদ হোসেন বাচ্চু বাংলানিউজকে জানান, ফাহিমের কলেজ থেকে বিকাল ৩টায় কল করে জানানো হয় সে পরীক্ষা দেয়নি। পরীক্ষার হলে সে অনুপস্থিত ছিলো। এরপর থেকে ফাহিমকে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে কল করে ফাহিম তার লোকেশন জানায়। পরে আমরা সিলেটের মগলাবাজার থেকে তাকে নিয়ে আসি। সেখানে গিয়ে জানতে পারি তাকে স্থানীয়রা ময়লার ভাগার থেকে উদ্ধার করে। এসময় তার গায়ে ছেড়া গেঞ্জি ও প্যান্ট পড়া ছিলো। তার সঙ্গে থাকা একটি স্যামসাং মোবাইল ফোন, স্কুল ব্যাগ ও পরনে শার্ট জুতা কিছুই পাওয়া যায়নি।
উদ্ধারের পর ফাহিমকে শ্রীমঙ্গলে নিয়ে আসা হলে জিজ্ঞাসাবাদে রোববার (৪ এপ্রিল) শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ ওসি (তদন্ত) হুমায়ুন কবিরকে সে বলেন, শনিবার দুপুর আনুমানিক ১টায় হবিগঞ্জ বিরতিহীন বাস থেকে মৌলভীবাজার বাস স্ট্যান্ডে নেমে টমটম অটো রিকশায় সে মৌলভীবাজার চৌমুহনায় যায়। টমটম থেকে নেমে সে কলেজে যাবার জন্য সিএনজি ডাক দেয়। এরপর থেকে সে আর কিছু বলতে পারে না। হঠাৎ তার জ্ঞান ফিরলে সে লক্ষ্য করে একটি টিনের ঘরের ভেতরে অন্ধকার অবস্থায় সে শুয়ে আছে। সে উঠে আন্দাজ করে ঘরের দরজা খুলে দৌঁড়ে বেড়িয়ে আসে। পরে প্রায় তিন থেকে চার কি.মি. জায়গা দৌঁড়ে সড়কের পাশে স্থানীয় লোকের সহযোগীতায় তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
ফাহিমের পরিবার সূত্রে জানা যায়, (৪ এপ্রিল) রোববার এই ঘটনায় তারা শ্রীমঙ্গল থানায় মামলা দায়ের করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২১
বিবিবি/কেএআর