রাজশাহী: মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখী ঝড়ে উপড়ে গেছে রাজশাহীতে সড়ক বিভাজকে থাকা দৃষ্টিনন্দন ৩৫টি সড়কবাতি। মহানগরীর বিলসিমলা রেলক্রসিং থেকে কাশিয়াডাঙ্গা পর্যন্ত সিটি বাইপাস সড়কের পোলগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রোববার (৪ এপ্রিল) বিকেলে ঘণ্টায় ৬৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যায়। মাত্র তিন মাস আগেই বাতিগুলো বসানো হয়েছিল। পোলগুলোর ওপরের অংশে প্রজাপতির মতো ডানা মেলে থাকা দু’পাশে দু’টি করে এলইডি বাতি লাগানো হয়েছিল। এ কারণে সড়কটি এরই মধ্যে রাজশাহীর ‘প্রজাপতি সড়ক’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) বিদ্যুৎ বিভাগ ‘হ্যারো ইঞ্জিনিয়ারিং’ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাজটি বাস্তবায়ন করে। এতে পাঁচ কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যয় হয়। সড়কবাতির পোল ও বাতিগুলো চীন থেকে আনা হয়। ২৭ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিগুলো উদ্বোধন করেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
উদ্বোধনের তিন মাস পরই ঝড়ে সড়কবাতিগুলো এভাবে পড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা। এরই মধ্যে পড়ে যাওয়া সড়কবাতিগুলোর ছবি ফেসবুকের পাতায় ভেসে বেড়াচ্ছে। তারা বলছেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি এবং গাফিলতির কারণে এমন ঘটনা ঘটছে। আইল্যান্ডের ভেতরে না পড়ে পোলগুলো যদি সড়কে পড়তো তাহলে অনেক মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারতো।
পোল উপড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে রাসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ ও যান্ত্রিক) রেয়াজাত হোসেন রিটু জানান, ঝড়ের তীব্রতায় পোলগুলো হেলে পড়েছে। কিছু পড়ে গেছে। তবে ওয়ারেন্টি আছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিজ দায়িত্ব আবার সব ঠিক করে দিচ্ছে।
এদিকে, বাতিগুলো লাগানো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হ্যারো ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আশরাফুল হুদা টিটো জানান, খবর পাওয়ার পরপরই তিনি ঘটনাস্থল ঘুরে এসেছেন। এগুলোর এখনও এক বছরের ওয়ারেন্টি আছে। প্রয়োজন হলে আরও পাঁচ বছর ওয়ারেন্টি দেওয়া হবে। আর ক্ষতিগ্রস্ত খুঁটিগুলো রাতের মধ্যেই ঠিক করে দেওয়া হবে।
ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানান আশরাফুল হুদা টিটো।
বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২১
এসএস/এএ