ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সন্তান হত্যার বিচার চেয়ে কাঁদলেন যবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২১
সন্তান হত্যার বিচার চেয়ে কাঁদলেন যবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য

যশোর: বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সন্তানকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে অপরাধীদের বিচার চেয়ে কাঁদলেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য এবং কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সাত্তার।
 
রোববার (০৪ এপ্রিল) বিকেলে যশোরে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সাত্তার ও তার স্ত্রী সহকারী অধ্যাপক নাসিমা আক্তার জুঁই।

এর আগে, গত ২৪ নভেম্বর তাদের বড় ছেলে ওয়াসেক সাত্তার আবীরের (২৫) রহস্যজনক মৃত্যু হয়। ঢাকার হাতিরঝিল থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।  

পরিবারের পক্ষ থেকে এই মৃত্যুকে হত্যা বলে দাবি করা হচ্ছে। অন্য দিকে পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।

আবীর মালয়েশিয়ার পুত্রামালায় ইউনিভার্সিটির (ইউপিএম) সফট্ওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ছিলেন। করোনার কারণে দেশে অবস্থান করছিলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আবীরের মা সহকারী অধ্যাপক নাসিমা আক্তার জুঁই বলেন, ২৩ নভেম্বর রাতে যশোর থেকে তিনি ও আবীর ঢাকায় যান। ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় ফোন পেয়ে আবীর ঢাকার ভাড়াবাসা থেকে বাইরে যায়। ওই রাতে ফোনে ছেলে অসুস্থ শুনে হাসপাতালে গিয়ে দেখেন আবীরের লাশ। হাতিরঝিলের এক নম্বর ব্রিজের নিচ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।  

নাসিমা আক্তার জুঁই দাবি করেন, তার দেবর ফজলুর রহমানের ছেলে ফয়সাল আহমেদ নয়ন ও নয়নের ভগ্নিপতি আবু মুরাদ ওইদিন সন্ধ্যায় আবীরকে ডেকে নিয়ে হাতিরঝিলে ফেলে হত্যা করেছে। রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজে গিয়ে জুঁই তাদেরকে সেখানে দেখেছেন। অথচ ওই সময়ের মধ্যে তাদের সেখানে আসার কথা নয়।  

পারিবারিক বিরোধ থাকায় তারা এর আগে নাসিমা আক্তার জুঁইকেও হত্যার চেষ্টা করেছে বলে তিনি দাবি করেন।  

অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সাত্তার বলেন, আবীরের মৃত্যুর পর হাতির ঝিল থানায় পুলিশ একটি অপমৃত্যু মামলা করে। পরে তারা আবীরকে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে নয়ন ও মুরাদকে আসামি করে আদালতে মামলা করেছেন। কিন্তু মামলার তেমন অগ্রগতি নেই। এজন্য সন্তান হত্যার বিচার চেয়ে তারা সংবাদ সম্মেলন করছেন।  

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জাসদের কেন্দ্রীয় কার্যকরী সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম, নাগরিক আন্দোলন যশোরের আহ্বায়ক মাস্টার নূর জালাল, সমন্বয়ক মাসুদুজ্জামান মিঠু প্রমুখ।  

এ ব্যাপারে হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক ও অপমৃত্যু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসাদ বিন আব্দুল কাদির জানান, হাতিরঝিলের একটি ব্রিজ থেকে আবির পানিতে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মগবাজারের ইনসাফ বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এখনও তিনি পাননি। প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে; এটি হত্যা না আত্মহত্যা।

বাংলাদেশ সময়: ০৩৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২১
ইউজি/এমইউএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।