ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

লকডাউন: দিনমজুর-ব্যবসায়ীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ

মো. রাজীব সরকার, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০২১
লকডাউন: দিনমজুর-ব্যবসায়ীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ লকডাউন

গাজীপুর: সারাদেশে চলছে এক সপ্তাহের লকডাউন। দোকানপাট ও গণপরিবহন চলাচল সব বন্ধ।

বন্ধ হয়ে গেছে দিনমজুরদের কাজ। আর এই লকডাউনের সময় আরো বাড়বে কিনা এসব ভেবেই দিনমজুর ও ব্যবসায়ীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তবে, সড়ক-মহাসড়কে চলছে অটোরিকশা, ইজিবাইক ও বিভিন্ন পণ্য পরিবহনের যানবাহন।

স্থানীয় এলাকাবাসী, দিনমজুর ও ব্যবসায়ীরা বলছে, কাজ করতে না পারলে খাবো কি? এটা দিনমজুরদের কথা। শপিংমল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান-দোকানপাট বন্ধ থাকলে বিশাল ক্ষতি, চলবো কি করে এটা ব্যবসায়ীদের কথা। এছাড়া এক সপ্তাহের লকডাউন চলছে। এই লকডাউনের সময় আরো বাড়ানো হবে কিনা এসব চিন্তা করেই দিনমজুর ও ব্যবসায়ীদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। সড়ক-মহাসড়কে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের গণপরিবহন। ভয়ঙ্কর মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাচ্ছে। করোনা সংক্রমণ রোধে সারাদেশে এক সপ্তাহের লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। আর সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৫ এপ্রিল থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত এক সপ্তাহের লকডাউন চলছে সারাদেশে।  

এর আগে ২০২০ সালের ২৬ মার্চ থেকে শুরু করে ৬৬ দিনের লকডাউন ছিল সারাদেশে। এদিকে সামনেই আসছে ঈদ। ঈদ সামনে রেখে কেনাবেচার ধুম পড়ার কথা। কিন্তু এর আগেই শুরু হয়ে গেলো এক সপ্তাহের লকডাউন।  

সরেজমিনে দেখা গেছে, গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা, জয়দেবপুর ও কোনাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় মুদি, সবজি, ফার্মেসি, হাসপাতাল, ক্লিনিক ও পোশাক কারখানা খোলা রয়েছে। এছাড়া শপিংমল ও অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। সড়ক-মহাসড়কগুলোতে অটোরিকশা-ইজিবাইক ছাড়া অন্যান্য গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। কাপড় ব্যবসায়ীসহ নানা ধরনের দোকানপাট বন্ধ রেখে ব্যবসায়ীরা সকালে অবস্থান নেয় ওই সব দোকানের সামনে। মার্কেটের পরিস্থিতি দেখতেও অনেক ব্যবসায়ীরা আসেন তাদের প্রতিষ্ঠানের সামনে। বিভিন্ন এলাকায় পুলিশকে টহল দিতে দেখা গেছে। তারা মাইকিংও করছেন জনসমাগম এড়িয়ে চলতে মানুষকে সতর্ক করছেন।  

কোনাবাড়ী এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বলেন, সামনেই ঈদ এখনই বেচাকেনা শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু লকডাউনে পড়ে গেলাম। দোকানে অনেক টাকার মাল উঠানো হয়েছে, বিক্রি করতে না পারলে বড় লোকশানের মুখে পড়তে হবে। গত বছরেও লকডাউনে পরে অনেক ক্ষতি হয়েছে আমাদের। জানি না লকডাউন এক সপ্তাহ থাকবে, নাকি আরো বেশি।  

কাপড় ব্যবসায়ী তাপস কুমার পাল বলেন, শপিংমল বন্ধ রয়েছে। কিন্তু গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিসহ অন্যান্য দোকানপাট খোলা রয়েছে। তাহলে করোনা ভাইরাস কি শুধু শপিংমলেই? পোশাক কারখানা থেকে কি ভাইরাস ছড়াবে না? এমন প্রশ্ন তার।

তিনি বলেন, সামনে ঈদ দোকানে লাখ লাখ টাকার পণ্য উঠানো হয়েছে। বিক্রি করতে পারবো কিনা এটা বড় চিন্তার বিষয়।  
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি উত্তর) জাকির হাসান জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে সবাইকে সচেতন করতে। দোকানপাট বন্ধ রাখছে কিনা, কল-কারখানা গুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানছেন কিনা তা তদারকি করা হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় পুলিশি টহল অব্যাহত রয়েছে।

গাজীপুরের এডিসি (সার্বিক) মামুন সর্দার জানান, সরকারের পক্ষ থেকে যেসব নির্দেশনা আছে তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এছাড়া লকডাউনের বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২১
আরএস/এএটি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।