হবিগঞ্জ: ব্যক্তিগত উদ্যোগে মাত্র আড়াই লাখ টাকা ব্যয়ে ৮৫ ফুট দৈর্ঘ্যের পাকা সেতু নির্মাণ করে দেখাচ্ছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। ৩৩টি কাঠের সেতু নির্মাণের পর এবার প্রথম তিনি পাকা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিলেন।
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় চার নম্বর পাইকপাড়া ইউনিয়নের হলদিউড়া ও হলুদিয়া গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত খালে তিনি এ সেতুটি নির্মাণ করছেন। এরই মধ্যে সেতুর ছয়টি পিলার স্থাপন হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) রাতে ব্যরিস্টার সুমন বাংলানিউজকে বলেন, হলদিউড়া ও হলুদিয়া গ্রামের খালটিতে একটি সেতুর অভাবে এলাকার কয়েক হাজার মানুষ দুর্ভোগে ছিলেন। এজন্য আমি একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করে দিয়েছিলাম। সম্প্রতি কাঠের সেতুটি ভেঙ্গে যাওয়ায় সেখানে পাকা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। আনুমানিক ৮৫ ফুটের এ সেতু নির্মাণে আড়াই লাখ টাকা ব্যয় হবে।
এদিকে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে ব্যরিস্টার সুমন বলেছেন, এটি আমার ৩৪তম সেতু। বাকি ৩৩টি ছিল কাঠের। এবারই প্রথম পাকা সেতু নির্মাণ করতে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে সেতুটির জন্য ছয়টি পিলার স্থাপন করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। বাকি কাজ করতে আরও প্রায় দুই লাখ টাকা লাগবে বলে ধারণা করছি। এ সেতুটি করার জন্য আমি নিজের রোজগার থেকে প্রতি সপ্তাহে ১০ হাজার টাকা সঞ্চয় করেছি।
ফেসবুক লাইভে ব্যারিস্টার সুমন আরও বলেন, অনেকে আমরা গর্ব করি পদ্মাসেতুর পিলার নিয়ে। কিন্তু ব্যক্তি উদ্যোগে সরকারের সহযোগিতা ছাড়াও অনেক কিছু করা সম্ভব। এ সেতুটি আমার একটা গর্বের জায়গা, এটা আমার মুক্তির উপায়। মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও বেঁচে থাকা মানুষের জন্য কিছু করে যাওয়া উচিত।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০২১
এসআই