মুন্সিগঞ্জ: মুন্সিগঞ্জের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী তানভির হোসেন হৃদয়। নারায়ণগঞ্জের একটি বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিলেন একটি অনুষ্ঠানে।
পথে হৃদয় তার এক বন্ধুকেও ফোন করে বলেছিলেন লঞ্চঘাটে তার জন্য অপেক্ষা করার জন্য। কিন্তু তার আর ফেরা হলো না। লঞ্চডুবির ৩৭ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হৃদয় মুন্সিগঞ্জ শহরের উত্তর ইসলামপুর এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে।
হৃদয়ের বড় ভাই মো. কামরুল বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার রাতে নোয়াখালীর লক্ষ্মীপুর সদরে হৃদয়ের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। তিন ভাই বোনের মধ্যে হৃদয় ছিল সবার ছোট।
হৃদয়ের মরদেহ বাড়িতে পৌঁছাতেই স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে বাতাস। শোকের মাতম যেন থামছে না। স্বজনরা মেনে নিতে পারছেন না এমন করুণ মৃত্যু। প্রতিবেশীরা শান্তনা দিতে এসেছেন নিহতদের বাড়িতে। ডুবে যাওয়া লঞ্চের অধিকাংশ যাত্রী ছিলেন মুন্সিগঞ্জের।
এর আগে রোববার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শীতলক্ষ্যা নদীর মুন্সিগঞ্জ-নারায়ণগঞ্জ নৌপথে চর সৈয়দপুর এলাকার ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে সাবিত আল হাসান নামে যাত্রীবাহী লঞ্চটি এসকে-৩ নামে একটি কার্গোর ধাক্কা ডুবে যায়। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২১
এসআরএস