ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ধর্মপাশায় ছাত্রলীগ নেতাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় ২ পুলিশ প্রত্যাহার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২১
ধর্মপাশায় ছাত্রলীগ নেতাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় ২ পুলিশ প্রত্যাহার

সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ছেলের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের এক নেতাকে ধর্ম অবমানার মিথ্যা অভিযোগ এনে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় দুই পুলিশকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও এফ রহমান হলের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল খান তার ফেসবুকে হেফাজতে ইসলামের দেশজুড়ে তাণ্ডবের কিছু প্রকাশ করেন।

এতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতার মাদরাসা পড়ুয়া ছেলে আল মোজাহিদ তার দলবল নিয়ে ঢাবি ছাত্রকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং পুলিশের সামনেই হাতকড়া পরিয়ে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন।  

এ ঘটনায় ধর্মপাশা থানার উপ-সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) আনোয়ার হোসেন ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।  

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধর্মপাশা উপজেলার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হরিপুর সাতঘরিয়া গ্রামের আফজাল খানের ছেলে আল মোজাহিদ সাবেক শিবির নেতা। তার সঙ্গে ঢাবি ছাত্র আফজাল খানের বিরোধ ছিল। আফজাল হেফাজতের তাণ্ডবের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করলে মোজাহিদ তার দলবল নিয়ে ওই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে উত্তেজনা সৃষ্টি করেন। এক পর্যায়ে পুলিশও তাদের পক্ষ নিয়ে ওই ছাত্রকে হাতকড়া পরিয়ে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করে। পরে ওসির নির্দেশে তারা ওই ছাত্রকে হাতকড়া পরানো অবস্থায় থানায় নিয়ে যান। রাতে তার পরিচয় পেয়ে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ এ ঘটনায় নিন্দা জানান।

জানা যায়, ঢাবি ছাত্রলীগ নেতাকে জয়শ্রী বাজারে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে তাকে হেনস্তা করা হচ্ছে। এমন খবর পেয়ে ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেনের নির্দেশে এএসআই আনোয়ার হোসেন ও এসআই জহিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসেন। তারা মোজাহিদ ও তার উত্তেজিত সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে আফজাল খানকে হাতকড়া পরায়। পুলিশের সামনেই আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে তাকে লাঞ্ছিত করা হয়। এক পর্যায়ে পুলিশের সামনেই তাকে হাতকড়া পরানো অবস্থায় করজোড় করে ক্ষমা চাওয়ানো হয়। পরে হাতকড়া পরিয়েই তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

অভিযুক্ত আল মোজাহিদের বাবা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম সম্পর্কে স্থানীয় এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের চাচা। তিনি একসময় জামায়াতের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।

ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ছাত্রলীগ নেতাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় দুই পুলিশকে প্রত্যাহার করে সুনামগঞ্জ পুলিশ লাইনে নিয়ে আসা হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি আর কিছু বলতে চাননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।