ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের বিরোধিতা রাষ্ট্রদ্রোহিতা: শ ম রেজাউল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২১
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের বিরোধিতা রাষ্ট্রদ্রোহিতা: শ ম রেজাউল

ঢাকা: স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের বিরোধিতা রাষ্ট্রদ্রোহিতা বলে উল্লেখ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

শনিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অস্বীকার রাষ্ট্রদ্রোহিতাতুল্য অপরাধ’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের রচয়িতা ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম।

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক, সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে আরও বক্তব্য রাখেন- ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আইন সহায়ক কমিটির সভাপতি বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শহীদ ভাষাসৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের পৌত্রী, সংসদ সসদ্য এরোমা দত্ত, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল প্রমুখ।  

রেজাউল করিম বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সূতিকাগার বঙ্গবন্ধুর ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা ও ১০ এপ্রিলের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। এ জায়গা বাংলাদেশের অস্তিত্বের শিকড়। সংবিধানের ৭(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের বিরোধিতা রাষ্ট্রদ্রোহিতা। ২৬ বছর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় ছিল। তারা বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। তারা স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতকে বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার দিয়েছে এবং সংবিধানে বিভিন্ন অনুচ্ছেদ কাঁটাছেঁড়া করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানুষের চিন্তা-চেতনা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এগুলো সবই রাষ্ট্রদ্রোহিতা।

তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আমাদেরও ব্যর্থতা আছে। আমরা ঐক্যবদ্ধ নই। অনেক ক্ষেত্রে আমরা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার কথা বা বাঙালি জাতীয়তাবাদের কথা বলি না। এভাবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিও দ্বিধাগ্রস্ত। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে আমরা রক্ষা করতে পারিনি। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি কখনও হেফাজত, কখনও জামায়াত, কখনও নেজামে ইসলাম, একেক সময়ে একেক নামে আসে এবং বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করার অপচেষ্টা করে। শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হলেও তাদের উত্তরসূরিরা এখনও শক্তিমান। ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২১
আরকেআর/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।