ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সড়কে ব্যারিকেড, সন্দেহ হলেই ঘরে ফেরত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২১
সড়কে ব্যারিকেড, সন্দেহ হলেই ঘরে ফেরত ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন থেকেই দেশে চলছে কঠোর লকডাউন। সংক্রমণ রুখতে সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশনা থাকলেও তবু বের হচ্ছেন লোকজন।

তবে পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা সড়কে কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ করছেন। অনেক সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যান চলাচল।

বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকাল থেকে রাজধানীর প্রতিটি মোড় ও সড়কে থাকা ইউলুপের কাছাকাছি জায়গায় বসানো হয়েছে পুলিশের তল্লাশি চৌকি। দেওয়া হয়েছে ব্যারিকেড।

এদিকে সড়কে বের হওয়া ব্যক্তিরা যার যার প্রয়োজন দেখিয়ে গন্তব্যে যাওয়ার জোর দাবি করছেন। তবে একদমই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এবং উপযুক্ত কারণ দেখানো গেলেই কেবল তাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে। অন্যথায় তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাড়ির দিকে।

বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সরেজমিনে ঘুরে লকডাউনের এ চিত্রই দেখা যায়।

রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর, হাউজবিল্ডিং, আজমপুর, জসীমউদ্দীন ইউলুপ, বিমানবন্দর ইউলুপ, খিলক্ষেত, কুড়িল, বাড্ডা, রামপুরা, মহাখালী, বনানী, গুলশান, বারিধারা, মিরপুর, পল্লবী, কালশীসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সড়কে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল নিয়ন্ত্রণে রেখেই কাজ করছে পুলিশ।  

এদিকে পাড়া-মহল্লার অলি-গলিতেও রয়েছে পুলিশের টহল।

সড়কের আব্দুল্লাহপুর মোড়ে সরেজমিনে দেখা যায় টঙ্গী থেকে আগত যানবাহনগুলো ব্রিজের মুখে আটকে রাখা হয়েছে। বাকি সড়কগুলো একেবারে ফাঁকা। সাধারণ মানুষ অনেকেই হেঁটে চলাচল করছেন। সড়কে চেকপোস্টে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের বাইরে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করছেন। যদি উপযুক্ত কারণ কিংবা মুভমেন্ট পাস সঙ্গে থাকে তবে তাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে। পাস ছাড়া সবাইকে ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছেন পুলিশ সদস্যরা।

আব্দুল্লাহপুর তল্লাশি চৌকিতে দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জিল্লুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, গতকাল রাত ১২টা থেকেই এদিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সকাল থেকে এখানে অনেক যানবাহন ও মানুষদের ভিড় হয়েছে। সবাই কোনো না কোনো বাহানা নিয়েছে হাজির হচ্ছেন। তবে আমরা মুভমেন্ট পাস ছাড়া কাউকে যেতে দিচ্ছি না। ক্ষেত্র বিশেষে কেউ যৌক্তিক কোনো কারণ দেখালে সে বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে সত্যতা পেলে তাকে যেতে দেওয়া হচ্ছে।

হাউজবিল্ডিংয়ের নর্থটাওয়ারের সামনে থাকা উভয় পাশের সড়ক বন্ধ রাখা হয়েছে। সেখানেও পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। উত্তরার আজমপুর, জসীমউদ্দীন ইউলুপ, বিমানবন্দরসহ রাজধানীর সবকয়টি গুরুত্বপূর্ণ সিগন্যাল ও পয়েন্টে পুলিশের তল্লাশি চৌকি বসানো।

এসব চৌকিতে থানা পুলিশের সঙ্গে ট্রাফিক বিভাগের সদস্যরাও একত্রে দায়িত্ব পালন করছেন। এসব তল্লাশি চৌকিতে আটকে থাকা যানবাহনগুলোর কাগজপত্র তল্লাশি করছে ট্রাফিক পুলিশ। একই সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হওয়ার কারণ ও কোথায় যাবেন, কী কারণে? এসব জিজ্ঞাসা করছেন থানা পুলিশের সদস্যরা।

জসীমউদ্দীন ইউলুপের তল্লাশি চৌকিতে দায়িত্বরত পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. হাবীব জানান, লকডাউনে ঘর থেকে বের হওয়াই মানা। তবুও যারা যানবাহন নিয়ে আসছেন তাদের কাগজপত্র ঠিক রয়েছে কিনা সেগুলো তল্লাশি করা হচ্ছে। এছাড়াও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে সড়কে মুভমেন্ট করতে দেওয়া হচ্ছে না।

প্রধান সড়কের পাশাপাশি গলির মুখগুলো বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন বড় বড় শপিংমল ও দোকানপাট বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, ওষুধের দোকান, সীমিত আকারে বাজার খোলা থাকতে দেখা গেছে।

**৮ দিনের লকডাউনে মানতে হবে যে ১৩ নির্দেশনা
**লকডাউন মানাতে মোড়ে মোড়ে পুলিশি টহল
**রাস্তায় বেরিয়েই পুলিশি জেরার মুখে সাধারণ মানুষ


বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল, ১৪, ২০২১
এসজেএ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।