সিলেট: বাংলা নববর্ষ। প্রতি বছর বর্ষ বরণে হয় বৈশাখী উৎসব।
করোনা থেকে সুরক্ষায় লকডাউনের কারণে সিলেটেও পহেলা বৈশাখে বর্ষবরণে ছিল না কোনো আয়োজন। যে আয়োজনকে ঘিরে সারা বছর ধরে স্বপ্ন বুনেন মৃৎশিল্পী ও মাটির বাসন বিক্রেতারা। কিন্তু এবার তাদের সেই স্বপ্নে ছেদ ফেলে লকডাউন।
সিলেটে মৃৎশিল্পীরা মাটির হাড়ি-পাতিল তৈরি করে প্রস্তুত থাকলেও বর্ষ বরণ অনুষ্ঠান না হওয়াতে তাদের মাথায় হাত উঠেছে। তারা বিক্রি করতে পারেননি রং করা হাড়ি পাতিল।
সরেজমিন দেখা গেছে, নগরের ক্বীন ব্রিজ সংলগ্ন সারদা হলের সামনে ফুটপাতে রাঙিন হাড়ি পাতিল সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। কিন্তু ক্রেতা নেই। তাই দিন শেষে শূন্য হাতে ফিরতে হচ্ছে তাদের। ঘটি, বাটি, হাড়ি-পাতিল কোনো কিছুই এবার বিক্রি হয়নি। তারপরও্ পসরা সাজিয়ে বসেছেন, যদি কিছু বিক্রি হয়।
মাটির হাড়ি পাতিল বিক্রেতা হারুন মিয়া বলেন, প্রতি বছর অনেক হাড়ি, পাতিল, ঘটি-বাটি বিক্রি করি। কিন্তু এবার কোনো কিছুই বিক্রি হয়নি। দিনভর বসে সামান্য ব্যাগ বিক্রি করেছি, তাও ৫শ’ টাকা হবে।
পাশের হাড়ি পাতিলের ব্যবসায়ী যুবক নাজমুল হোসেন বলেন, এবার মাটির বাসন বিক্রি করতে পারিনি। যেগুলো কিনে এনেছিলাম, তার সবটাই লস। এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে। দিন শেষে মাত্র ৩শ’ টাকার ব্যগ বিক্রি করতে পেরেছি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রতি বছর ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে সিলেটে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয় নগরের ক্বীন ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে। কিন্তু এবার করোনার কারণে বর্ষবরণ কিংবা বৈশাখী মেলার অনুষ্ঠান হয়নি। আর মৃৎশিল্পী ও মাটির বাসন বিক্রেতারা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২১
এনইউ/আরএ