ঢাকা: কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিনে সড়কে যান চলাচল তুলনামূলক কম। ছুটির দিন হওয়ার পরও জরুরি প্রয়োজনের পাশাপাশি বিভিন্ন অজুহাতে অনেককেই বাইরে বের হতে দেখা যাচ্ছে।
শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই লকডাউনে রাস্তায় বের হলেই পুলিশ জানতে চাইছেন ‘মুভমেন্ট পাস’ আছে কি না। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস থামিয়ে জানতে চাইছেন কি কারণে বা কি কাজে বের হয়েছেন। যথাযথ কারণ বলতে পারলেই যাতায়াত করতে দিচ্ছে পুলিশ। এছাড়া প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া রাস্তায় মোটরসাইকেল, কভার্ড ভ্যান ও পিকআপ যারা বের করেছেন তাদের মামলা দিচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ।
মো. রায়হান গাবতলী যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলেন। পথে পুলিশ তাকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করে। জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাজিনকে নামিয়ে দেওয়ার জন্য গাবতলী যাচ্ছিলাম। এ কারণে পুলিশ আমাকে দুই হাজার টাকার মামলা দিয়েছে।
সোলাইমান হোসেন নামের একজন লকডাউনে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়েছেন মেরামত করার জন্য। তাকেও জরিমানা করেছে পুলিশ।
তিনি বলেন, আমি মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছি বলে এক হাজার টাকার মামলা দিয়েছে। পুলিশ বলেছে, লকডাউন শেষে মোটরসাইকেল ঠিক করাতে।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বর এলাকায় ভিডিও করার সময় মো. সেলিম নামের একজনকে আটকায় পুলিশ। পরে তিনি নিজেকে বঙ্গ টিভির সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে ২০১৯ সালে মেয়াদোত্তীর্ণ একটি আইডি কার্ড দেখান। এরপর পুলিশ তার মোবাইল জব্দ করে নেয়। দুই ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখার পর তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। ফেরত দেওয়া হয় মোবাইলও।
কাফরুল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার হওয়াতে মানুষ রাস্তায় তুলনামূলক কম বাইরে এসেছে। লকডাউন ভালোই কড়াকড়ি হচ্ছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী যারা চলাচল করছে আমরা তাদের যাতায়াত করতে দিচ্ছি। মোটরসাইকেলে দুজন করে যাতায়াত করলে থামিয়ে মামলা দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২১
এমএমআই/এইচএডি/