ঢাকা: বাংলা চলচ্চিত্রের মিষ্টি মেয়ে খ্যাত কিংবদন্তি অভিনেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য সারাহ বেগম কবরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা।
শনিবার (১৭ এপ্রিল) এক শোকবার্তায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন, পরিবেশ মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, সমাজ কল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোকবার্তায় মন্ত্রীরা জানান, অনবদ্য অভিনয় শৈলীর অধিকারী সারাহ বেগম কবরী ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্র অঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র। কবরী তার অসাধারণ অভিনয়ের মাধ্যমে সিনেমাপ্রেমী মানুষের কাছে বিপুল জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জনমত সৃষ্টিতে তার গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা তাকে পৌঁছে দিয়েছে অনন্য উচ্চতায়। মুক্তিযুদ্ধের সময় কলকাতায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
মিষ্টি মেয়ে নামে খ্যাত বাংলা চলচ্চিত্রের স্বর্ণালী যুগের প্রতিভাবান এ অভিনেত্রী বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় চিরভাস্বর হয়ে থাকবেন। পাশাপাশি দেশের রাজনীতিতেও তিনি স্মরণীয় নাম হয়ে থাকবেন। তার মৃত্যুতে রাজনীতি, সংস্কৃতি ও চলচ্চিত্রের এক অপূরণীয় ক্ষতি। তার মৃত্যুতে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি হলো।
এদিকে প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল জাহিদ ফারুক, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপণ ভট্টাচার্য্য, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী এম খালিদ, পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, যুব ও ক্রিড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, শ্রমপ্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোক বার্তায় প্রতিমন্ত্রীরা জানান, কিংবদন্তি অভিনেত্রী কবরী দেশের চলচ্চিত্র জগতে ছিলেন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তার সমান অবদান অবিস্মরণীয়। জনপ্রিয় ও গুণী অভিনেত্রীর মৃত্যুতে বাংলা চলচ্চিত্রে এক অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হলো। তার সৃজনশীল কর্মের মাধ্যমে তিনি লাখো ভক্ত ও অনুরাগীর হৃদয়ে আজীবন বেঁচে থাকবেন।
এদিকে কবরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি।
জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির আহ্বায়ক শেরিফা কাদের এবং জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সদস্য সচিব আলাউদ্দিন আহমেদ শোকবার্তায় প্রয়াতের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। পাশাপাশি শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
শোকবার্তায় তারা জানান, বাংলা চলচ্চিত্রে নতুন ধারা সৃষ্টি করেছেন কবরী। তিনি নিখুঁত অভিনয়ে কোটি দর্শকদের মুগ্ধ করতে সমর্থ হয়েছিলেন। কবরী ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের উজ্জ্বল নক্ষত্র। অভিনয় ও রাজনীতিতে সমান পারদর্শিতা দেখিয়েছেন কবরী। নতুন প্রজন্মের অভিনয় শিল্পীদের সামনে আদর্শ হয়ে থাকবেন সারাহ বেগম কবরী।
উল্লেখ্য, গত ৫ এপ্রিল কবরীর নমুনা পরীক্ষায় করোনা ভাইরাসের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর ওইদিন রাতেই তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ৮ এপ্রিল দুপুরে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়। ১৫ এপ্রিল নেওয়া হয় লাইফ সাপোর্টে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) দিনগত রাত ১২টা ২০ মিনিটে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান কিংবদন্তি এই অভিনেত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২১
জিসিজি/এমআরএ