ঈশ্বরদী (পাবনা): ঈশ্বরদীতে দুই সহোদর ভাইকে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে শারীরিক নির্যাতন করে চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগে জিসান হোসেন (৩৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের আওতাপাড়া বাজার এলাকা থেকে আটক করা হয়।
জিসান ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের দীঘা গ্রামের রজব আলীর ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে জিসান ঈশ্বরদীর সাহাপুর ইউনিয়নের আওতাপাড়ার নুরজাহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ভিলেজ ফ্রেশ ফুড অ্যান্ড এগ্রো কোম্পানির মালিক। তার প্রতিষ্ঠানে ভেজাল মধু দেওয়ার অভিযোগে ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া ইউনিয়নের দাঁদপুর গ্রামের আলম সরদারের ছেলে আল আমিন (২২) ও তার ভাই আলালকে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে শারীরিক নির্যাতন করেন ও চুল কেটে দেন তিনি।
জানা যায়, জিসানের প্রতিষ্ঠানটিতে তেল, ডাল, মধুসহ বিভিন্ন পণ্য প্যাকেটজাত করে পাইকারিভাবে বিক্রি করা হয়। আল আমিন এবং আলাল মধু সংগ্রহকারী দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তারা প্রায় এক বছর ধরে তার প্রতিষ্ঠানে মধু সরবরাহ করে আসছিলেন।
ওই প্রতিষ্ঠানের মালিকের অভিযোগ, প্রথমদিকে তারা দুই ভাই খাঁটি মধু দিলেও পরে তারা ভেজাল মধু দিচ্ছিলেন। এর ক্ষতিপূরণ বাবদ বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে ১০ কেজি মধু প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়ে আসে। প্রতিষ্ঠানের মালিক জিসান তাদের দুই ভাইকে একসঙ্গে পেয়ে আগের মধুর সব টাকা দাবি করেন এবং দুই ভাইকে প্রতিষ্ঠানের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারপিট করেন এবং মাথায় মধু ঢেলে তাদের চুল কেটে দেন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ গণমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে উভয়পক্ষ বিষয়টি সমঝোতা করে।
এদিকে, খবর পেয়ে পাবনার পুলিশ সুপার বিষয়টি পাবনার ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদকে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে পুলিশ অনুসন্ধান করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় জিসানকে আটক করে।
ওসি আসাদুজ্জামান আসাদ বাংলানিউজকে জানান, ভুক্তভোগী পরিবার মামলা দিলে আটক জিসানকে আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলা কারাগারে পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৪ ঘণ্টা, মে ০১, ২০২১
এসআই