সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের হিন্দু পল্লীতে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হকের সমর্থকদের হামলা লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে আরও ২ জনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গ্রেফতাররা হলেন- দিরাই উপজেলার সরমঙ্গল ইউনিয়নের ধনপুর গ্রামের আব্দুল রশিদের ছেলে হান্নান মিয়া (৫০) ও পার্শ্ববর্তী চন্ডিপুর গ্রামের সোয়েব মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম (২২)।
সোমবার (১০ মে) বিকেলে জেলা ডিবি পুলিশের একটি দল তাদের নিজ গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে।
জানা যায়, গ্রেফতার হান্নান মিয়া দিরাইয়ের সরমঙ্গল ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও একই ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য। মামলার প্রধান আসামি যুবলীগ নেতা ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম স্বাধীন মিয়াসহ মোট ৫৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৯ জন ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
সুনামগঞ্জ পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার বাংলানিউজকে জানান, নোয়াগাঁও গ্রামের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে দুইজনকে শনাক্ত করে বিকেলে তাদের নিজ গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মামুনুল হকের সমর্থকরা গত ১৭ মার্চ বুধবার নোয়াগাঁও গ্রামের ৮৮টি বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুর করে। এ সময় গ্রামের ৫টি মন্দির ভাঙচুর করা হয়। নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাস আপন নামে এক তরুণের ফেসবুক আইডি থেকে মামনুল হককে কটাক্ষ করে কথিত স্ট্যাটাসের প্রতিক্রিয়ায় বুধবার সকাল ৯টায় এই তাণ্ডব চালানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৮ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২১
এনটি
