ঢাকা: বছর ঘুরে আবারও দুয়ারে কড়া নাড়ছে মুসলিম বিশ্বের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ।
বুধবার (১২ মে) সন্ধ্যার আকাশে বাঁকা চাঁদ না উঠায় শুক্রবার (১৪ মে) পবিত্র ঈদুল ফিতর দেশজুড়ে উদযাপিত হবে। গেল বারের মত এবারের ঈদকেও কোনোভাবেই ‘রমজানের ওই রোজার শেষে ‘এলো খুশির ঈদ’ বলা যাচ্ছে না। কারণ অদৃশ্য শত্রু করোনার থাবায় কোটি মানুষ আজ কর্মহীন। দুই বেলার খাবারের সন্ধানে অগণিত মানুষ। এমন সময় ঈদ উৎসব শুধুই বিষণ্নতার এবং কষ্টের।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের পর ১৯৮৮ সালের বন্যার মধ্যেই কাটে দুইটি ঈদ এবং এর ১০ বছর পর ১৯৯৮ সালের বন্যার পরেই আসে রোজার ঈদ। বিধ্বস্ত জনপদের মধ্যে খানিকটা হলেও ঈদের আনন্দ ছিলো। কিন্তু করোনা ভাইরাস গেল বারের সবটুকু আর এবারের ঈদের অনেকখানি আলো ও আনন্দ কেড়ে নিয়ে আঁধার করে দিয়েছে।
জীবন চলে জীবনের নিয়মে, এ কারণে ঈদের অনেক অনুষঙ্গ উদযাপিত হবে। মানুষ একে অপরকে শুভেচ্ছা জানাবেন। বাণী আসবে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে। কিন্তু গেল বারের মতো এবারও বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদের দিনের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় থাকছে না।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, দূরপাল্লার বাস, লঞ্চ ও ট্রেন বন্ধ রয়েছে। তারপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নাড়ির টানে ঘরে ফিরেছে লাখো মানুষ। যারা এখনো ঢাকায় রয়েছেন তারা নতুন পোশাক কিনতে বিপণিবিতান থেকে শুরু করে ফুটপাতে জমিয়েছেন ভিড়।
ঈদে শহরে থেকে যাওয়া মানুষদের আনন্দের জন্য প্রতি বছরই নতুন করে সাজে চিড়িয়াখানা, শিশুপার্কের মতো বিনোদন কেন্দ্রগুলো। যাতে ঈদের দিন থেকে টানা এক সপ্তাহ ভিড় জমান লাখো মানুষ। তবে, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে গেল বারের মতো এবারও সব বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়েছে।
ফলে রাজধানীবাসী ঘরে বসেই উদযাপন করবে ঈদ। আর চোখ রাখতে পারেন টেলিভিশনের পর্দায়। প্রায় সব চ্যানেলেই রয়েছে ঈদ অনুষ্ঠানমালাতেও। এছাড়াও ইউটিউব ও বিভিন্ন ওটিটি অ্যাপে রয়েছে ঈদের নতুন নাটক, টেলিফিল্ম ও ওয়েবফিল্ম৷ তবে প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ থাকায় ঈদ উপলক্ষে নতুন কোনো চলচ্চিত্র নয়ই, পুরনো কোনো চলচ্চিত্র দেখা যাবে না।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৫ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২১
ডিএন/এএটি