ঢাকা: ঈদ কবে হবে তা নির্ভর করে চাঁদ দেখার ওপর। শুধু ঈদ নয়, হিজরি মাস গণনা করার জন্যও চাঁদ দেখা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সংশ্লিষ্টরা জানান, জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি একটি নীতিমালা অনুসরণ করে চাঁদ দেখে হিজরি বর্ষপঞ্জির বিভিন্ন মাসের তারিখ ঘোষণা করে থাকে।
জেলা চাঁদ দেখা কমিটিগুলো নিজ নিজ জেলায় চাঁদ দেখার তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে। ৬৪টি জেলার তথ্য জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির কাছে আসে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্লেষণ করে চাঁদ দেখার তথ্য ঘোষণা করা হয়।
দেশের ৪৩ জেলায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের আধুনিক যন্ত্রপাতি রয়েছে। এসব যন্ত্রপাতির মাধ্যমে হালকা মেঘে চাঁদ ওঠার তথ্য পাওয়া যায়। তবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি কেন্দ্রীয়ভাবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহযোগিতা নিয়ে চাঁদ দেখে।
এতে নির্দিষ্ট দিন সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের দুই জন কর্মকর্তা ইসলামী ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে রাজধানীর পল্টনে জাতীয় ক্রীড়া কমপ্লেক্স ভবনের ছাদ থেকে আকাশ পর্যবেক্ষণ করেন। দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে এই পর্যবেক্ষণ করা হয়।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিনিয়র অবজারভার আশরাফ হোসেন জানান, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর যৌথভাবে চাঁদ দেখার কাজটি করে থাকেন। দূরবীক্ষণ যন্ত্র স্থাপনের পর নির্দিষ্ট কোণে আমরা দৃষ্টি রাখি এবং চাঁদ দেখার চেষ্টা করি।
তিনি জানান, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে যেসব দূরবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে চাঁদ দেখা হয়, বাংলাদেশেও চাঁদ দেখার জন্য সেই যন্ত্রগুলোই ব্যবহার করা হয়।
এছাড়া ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটিতে দেশের খ্যাতনামা আলেমরাও উপস্থিত থাকেন, তাদের মতামতও নেওয়া হয়। এছাড়া আবহাওয়া অধিদফতরের প্রতিনিধি, ইউএনও, জেলার বড় মাদ্রাসা ও কলেজের প্রিন্সিপাল ও তিন জন আলেম এ কমিটির সদস্য হিসেবে যুক্ত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৬ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২১
এইচএমএস/এএটি