বরগুনা: চোখে দেখেন না, কানেও তেমন শোনেন না। লাঠির সহযোগিতায় হাঁটেন।
ঈদের দিন কাকডাকা ভোরে পাথরঘাটা কেন্দ্রীয় মসজিদ গেটে দেখা হয় চাঁন মিয়ার সঙ্গে। বললেন দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে প্রতিটা ঈদ এভাবেই কাটছে তার। বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে সারাদেশে ‘লকডাউন’ থাকলেও চাঁন মিয়া কাছে এসবের আলাদা কোনো মানে নেই। ঈদের দিনেও টাকার জন্য মসজিদের গেটে অন্যের কাছে হাত পাততে হয় তাকে।
চাঁন মিয়ার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তার বয়স ছিল ১২ বছর। এসময় হঠাৎ জ্বর হয় তার। ওই জ্বরে চান মিয়ার দুচোখ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়, দুই কানও বন্ধ হয়ে যায়। বাবা দিনমজুর ছিলেন। গরিব হওয়ায় তার পক্ষে চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি। অতি দরিদ্র্য পরিবারের সন্তান হওয়ায় সেই থেকেই ভিক্ষাবৃত্তির পথ বেছে নেন তিনি। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন সংসার চলে তার। তারপরেও থেমে নেই চাঁন মিয়ার জীবন। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে প্রতি ঈদেই তিনি মসজিদের গেটে এবং বিত্তশালীদের বাড়ির গেটে ভিক্ষাবৃত্তি করেন।
চাঁন মিয়া বলেন, ৫০ বছর ধরেই প্রতিদিনের মতো ঈদের দিনেও মসজিদের গেটে বসে থাকি। আমাদের ঈদ আনন্দ এমনই হয়। ছোট থেকেই এমন পরিবেশেই বড় হয়েছি। এমন পরিবেশেই আমরা ঈদের আনন্দ খুঁজে পাই।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২১
আরএ