ঢাকা: ঈদের দিন, তাই বাস বা রিকশায় উঠলেই যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে ‘বকশিশ’। বাসের কন্ডাক্টর এবং রিকশাচালকরা এর নাম দিয়েছেন ‘ঈদ বকশিশ’।
শুক্রবার (১৪ মে) রাজধানীর বিভিন্ন রুট ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি বাসের কন্ডাক্টররা ভাড়া নেওয়ার সময় পাঁচ-দশ টাকা করে ‘ঈদ বকশিশ’ কেটে নিচ্ছেন। যেসব যাত্রী প্রকৃত ভাড়ার খুচরো দিচ্ছেন, তাদের কাছ থেকে কন্ডাক্টররা চেয়ে নিচ্ছেন ‘বকশিশ’টা।
এ বিষয়ে কন্ডাক্টর এবং রিকশাচালকদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, ঈদের দিন সবাই ঈদের খুশিতে ঘুরতে বের হচ্ছে। আমরা তো তাদের জন্যই ডিউটি করছি। আমাদের আনন্দ, আমোদ-আহ্লাদ তো বাদ দিয়েছি এই মানুষগুলোর জন্যই। আর এই বকশিশ আমরা তো অন্য সময় নেই না। ঈদ বলেই চাচ্ছি।
তারা বলেন, অন্য সময়ের তুলনায় ঈদের জন্য এখন যাত্রীও কম। বাড়তি একটু ভাড়া না তুললে খরচ উঠবে না। তাই ভাড়ার সঙ্গে বাড়তিটুকু দাবি।
রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে বারিধারা-রামপুরা-মালিবাগ-গুলিস্তান, বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট-শাহবাগ-গুলিস্তান বা গুলিস্তান-গাবতলীসহ সব রুটেই চলছে এ বকশিশ আদায়।
এদিকে অনেক যাত্রী ঈদ উপলক্ষে যেমন খুশি হয়ে বাড়তি বকশিশ দিচ্ছেন, তেমন অনেকেই আবার একটু মনোক্ষুণ্ণও বটে। বিশেষ করে করোনাকালীন সময়ে স্বাভাবিক ভাড়ার তুলনায় এমনিতেই যখন অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে, তখন এই বকশিশ যেন আরও একটু বেশি কিছু।
এ বিষয়ে জাহিদুল ইসলাম নামে এক যাত্রী বলেন, করোনার জন্য স্বাভাবিক ভাড়ার তুলনায় এমনিতেই অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে। এর ওপর এই বকশিশ যেন একটু বেশিই হয়ে যায়। আবার আজকের দিনে এটা অবশ্য ওদের প্রাপ্যও। কেননা ওরা তো আমাদের জন্যই কাজ করছে।
এদিকে ঈদের দিন রাজধানীর প্রায় প্রতিটি রুটেই কমবেশি বাস চলাচল করছে। বাস ড্রাইভার-যাত্রীরাও বেশ খুশি যানজটমুক্ত ঢাকায় ঘুরতে বের হয়ে। রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ বা সার্জেন্টের আনাগোনাও কম। স্বাভাবিক দিনে যে রাস্তা পাড়ি দিতে দুই বা আড়াই ঘণ্টা সময় ব্যয় হতো, সেখানে এখন লাগছে মাত্র ২০ থেকে ২৫ মিনিট।
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২১
এইচএমএস/এএটি