যশোর: যশোরের কেশবপুর উপজেলার ধর্মপুর গ্রামে রাস্তার পাশে টিনের টোং ঘর বেঁধে বসবাস করে আসছিলেন ভূমিহীন চন্দনা বেগম (৭০)।
দীর্ঘ চার বছর ছোট্ট ওই টোং ঘরে চন্দনা তার মেয়ে মমতাজ, নাতি আবু হুরাইরা মানবেতর জীবনযাপন করলেও নজর পড়েনি কারও।
যদিও, ইতোপূর্বে স্থানীয় নেতা-কর্মী, জনপ্রতিনিধিরা বসতঘর দেওয়ার আশ্বাস দিলেও বাস্তবে প্রতিফলন না ঘটায় কারও প্রতি আস্থা নেই তার। তবে, ইউএনও অফিস থেকে তথ্য সংগ্রহ-তদন্তে যাওয়া কর্মকর্তাদের মাধ্যমে খবরটি পেয়ে কিছুটা ভরসায় বুক বেঁধেছেন চন্দনা বেগম।
সরেজমিনে দেখা যায়, কেশবপুর উপজেলার মহাকবির জন্মস্থান সাগরদাঁড়ি থেকে যশোর যাওয়ার আঞ্চলিক মহাসড়কের চিংড়া বাজার পার হয়ে ধর্মপূর এলাকায় রাস্তার ধারেই স্থানীয় মৃত কওছার আলীর স্ত্রী চন্দনা বেগমের টোং ঘর। বয়সের ভারে নূয়ে পড়া শরীর যেন রোগ-শোকের বাসা বেঁধেছে। শারীরিক পরিশ্রম করতে পারেন না। চলতে হয় অন্যের সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে। সরকারি বিধবা ভাতার টাকা দিয়েই সংসার খরচ মেটাতে হয়। মেয়ে মমতাজ শারীরিকভাবে অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন স্থানীয় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের কাছ থেকে।
চন্দনা বেগমের সঙ্গে কথা বলতে গেলে অশ্রুসিক্ত চোখের জল মুছতে মুছতে বাংলানিউজকে বলেন, এখন ঝড় বৃষ্টির সময় কখন কি হয় বলতে পারছি না। শুনেছি ইউএনও স্যার প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আমাকে ঘর বানাইয়ে দেবে। ঘরের জন্য নাকি জমিও ঠিক করেছে।
কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, উপজেলার সাগরদাঁড়ী ইউনিয়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওয়তায় চন্দনা বেগমকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঘর দেওয়ার ব্যাপারটি চূড়ান্ত। ওই তালিকায় তাকে ১ নম্বর সিরিয়ালে রাখা হয়েছে।
ইতোমধ্যে ঘর তৈরির লে-আউট দেওয়া হয়েছে, আগামী সপ্তাহে নির্মাণকাজ শুরু হবে। আশা করছি, আগামী মাসেই তিনি নতুন ঘরে বসবাস করতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২১
ইউজি/এমআরএ