ঢাকা: সন্তানকে পড়ানোর সুবাদে মসজিদের ইমাম আব্দুর রহমানের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক হয় আজহারের পরিবারের। এরমধ্যে আজহারের স্ত্রীর প্রতি ইমামের কু-নজর রয়েছে, এমন কথার জেরে উভয়ের মধ্যে বাগ-বিতণ্ডা হয়।
মঙ্গলবার (২৫ মে) সকালে রাজধানীর দক্ষিণখানের সরদার বাড়ি জামে মসজিদের সেপটিক ট্যাংক থেকে আজহারের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এদিকে ঘটনায় মসজিদের ইমাম আব্দুর রহমানকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১)।
এ দিন বিকেলে রাজধানীর কারওয়ানবাজার এলাকায় র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আব্দুল মোত্তাকিম।
তিনি বলেন, মাওলানা আব্দুর রহমান সরদারবাড়ি জামে মসজিদে ৩৩ বছর ইমামতি করে আসছে। ভিকটিম আজহারের ৪ বছরের ছেলে মসজিদের মক্তবে পড়াশোনা করতো। ভিকটিম নিজেও তার কাছে কোরআন শিক্ষা গ্রহণ করতেন। এই সুবাদ ভিকটিমের বাসায় প্রায়ই যাওয়া আসা করতেন ইমাম।
আজহারের স্ত্রীর দিকে ইমামের ‘কু-নজর’ রয়েছে বলে ধারণা করেন আজহার। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগ-বিতণ্ডা হয় এবং ইমামকে হুমকিও দেন আজহার। কিন্তু র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে কোনো সম্পর্ক থাকার কথা অস্বীকার করেছেন ইমাম। তবে, হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
ঘটনার বর্ণনা জানা যায়, চলতি মাসের ১৯ তারিখ আব্দুর রহমানের সঙ্গে ভিকটিম আজহারের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ইমাম আব্দুর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে আজহারের গলার ডানপাশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই ভিকটিমের মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার উদ্দেশ্যে মরদেহ টুকরো টুকরো করে মসজিদের সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখে।
হত্যাকাণ্ডে নিহতের স্ত্রী জড়িত কিনা তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঘটনার একদিন আগে ভিকটিমের স্ত্রী আছমা তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে চলে যায়। হত্যায় তার সম্পৃক্ততা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২১
পিএম/এএটি