ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সেপটিক ট্যাংক থেকে খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার, স্ত্রীই হত্যার পরিকল্পনাকারী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০১ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২১
সেপটিক ট্যাংক থেকে খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার, স্ত্রীই হত্যার পরিকল্পনাকারী

ঢাকা: রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকার একটি মসজিদের সেপটিক ট্যাংক থেকে খণ্ডিত অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় এবার নিহতের স্ত্রী আসমা আক্তারকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১)।

মঙ্গলবার (২৫ মে) রাতে রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর থেকে তাকে আটক করা হয়।



র‌্যাব জানায়, আসমা আক্তারই তার স্বামী আজহার হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী। তার পরিকল্পনাতেই আজহারকে গলাকেটে হত্যা করে মরদেহটি ছয় টুকরা করে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন মসজিদের ইমাম আব্দুর রহমান।

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান জানান, হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী ভিকটিমের স্ত্রী আসমাকে আটক করা হয়েছে। তাকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে স্বামীর হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি জানা গেছে। মাওলানা আব্দুর রহমান সরদারবাড়ি জামে মসজিদে ৩৩ বছর ইমামতি করে আসছেন। ভিকটিম আজহারের ৪ বছরের ছেলে মসজিদের মক্তবে পড়াশোনা করতো। ভিকটিম নিজেও তার কাছে কোরআন শিক্ষা গ্রহণ করতেন। এই সুবাদ ভিকটিমের বাসায় প্রায়ই যাওয়া-আসা করতেন ইমাম।

তার স্ত্রীর দিকে ইমামের কু-নজর রয়েছে বলে ধারণা করেন আজহার। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগ-বিতণ্ডা হয় এবং ইমামকে হুমকিও দেন আজহার। কিন্তু র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সম্পর্ক না থাকার কথা অস্বীকার করেছেন ইমাম। তবে, হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন তিনি।

ঘটনার বর্ণনায় জানা যায়, গত ১৯ মে (বুধবার) আব্দুর রহমানের সঙ্গে ভিকটিম আজহারের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ইমাম আব্দুর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে আজহারের গলার ডান পাশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই ভিকটিমের মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার উদ্দেশে মরদেহটি টুকরো টুকরো করে মসজিদের সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৪ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২১
পিএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।