ঢাকা, বুধবার, ২২ মাঘ ১৪৩১, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে ১০ ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১০ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২১
লক্ষ্মীপুরে ১০ ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত লক্ষ্মীপুরে ১০টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে

লক্ষ্মীপুর: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও ভরা পূর্ণিমার প্রভাবে মেঘনা উপকূলীয় এলাকা লক্ষ্মীপুরের কমলনগর ও রামগতির ১০টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ।

চার ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস ও জোয়ারের পানিতে ডুবে আছে রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ কালভার্ট, পুকুর ও জলাশয়। মানুষের বাড়ি-ঘরও ডুবে গেছে পানিতে। তবে মাঠে এখন কোনো ফসল নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাসের কারণে প্লাবিত হওয়া ইউনিয়নগুলোর মধ্যে রয়েছে কমলনগর উপজেলার চর মার্টিন, চর কালকিনি, চর লরেন্স, চর ফলকন ও পাটোয়ারী হাট; রামগতি উপজেলার চর বাদাম, চর আলেকজেন্ডার, চল আবদুল্লাহ ও চর রমিজ।

সবচেয়ে বেশি আতঙ্কের মধ্যে চর আবদুল্লাহ, চর আজাদ ও তেলির চর এলাকার মানুষ। এসব এলাকায় পুরোটাই কয়েক ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

বুধবার (২৬ মে) দুপুর থেকে নদীতে অতিরিক্ত জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাসের পানিতে এসব গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, ইয়াসের প্রভাবে হালকা বাতাস ও কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। তবে এসব এলাকার মানুষ এখনও কোনো আশ্রয়কেন্দ্রে যাননি। ঝুঁকি নিয়ে নিজেদের ঘর-বাড়িতেই অবস্থান করছেন। কোনো আতঙ্ক নেই বলেও জানান তারা।

রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মোমিন জানান, খুব বেশি আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ভরা পূর্ণিমা ও ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে মেঘনা তীরবর্তী এলাকায় প্লাবিত হয়েছে।

চর গাজী নামের একটি এলাকায় লোকালয়ে পানি উঠেছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সে পানি নেমেও যাবে। তবে দুর্গতদের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

জুনাইদ আল হাবিব নামে স্থানীয় এক সংবাদকর্মী জানান, লক্ষ্মীপুর মতির হাট  ও চর ফলকন এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে জনপদে ঢুকছে পানি। এসব এলাকার স্থানীয়রা জানান, টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকায় খুব সহজেই পানি জনপদে ঢুকে পড়ে। আর সে কারণেই ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাসে লাখ লাখ মানুষকে আতঙ্কে দিন পার করতে হয়।

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসন জানায়, স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলাব্যাপী প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২০৯টি প্রতিষ্ঠান। গঠন করা হয়েছে ৬৬টি মেডিক্যাল টিম। উপকূলীয় এলাকায় প্রচারণা (মাইকিং) চালিয়ে নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।

দুর্যোগ মুহূর্তে এসব এলাকার লোকজনের জন্য ২৭৯ মেট্রিক টন চাল, নগদ ২৪ লাখ টাকা, শিশু খাদ্যের জন্য ৯ লাখ ও গো খাদ্যের জন্য ১৩ লাখ টাকা মজুদ রাখা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২১ 
এসএইচডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।